মালবাজার: চিতাবাঘের হানায় (Leopard Attack) আতঙ্ক ছড়াল মাল ব্লকের বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার সকালে নেপুচাপুড় চা বাগানের ৫৫ নম্বর সেকশনে শ্রমিকরা চা পাতা তোলা এবং পরিচর্যার কাজ করছিলেন। সেই সময় গুদাম লাইনের চা শ্রমিক দুর্গা লোহার(২৮) চিতাবাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন। দুর্গা বলেন, ‘আমি বাগানে পরিচর্যার কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই আমার উপর চিতাবাঘ ঝাঁপ দেয়। মুখে থাবা বসায়। কোনক্রমে প্রাণে বেঁচেছি।‘ অন্যদিকে, ২৬ নম্বর সেকশনে মহিলা চা শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করেই আরেকটি চিতাবাঘ অমৃতা ওরাওঁ(২৩) নামে এক চা শ্রমিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুজনকেই আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মালবাজারে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, মাল ব্লকেরই তেসিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নম্বর ঘুমটিতে চিতাবাঘের হামলায় দুটি গোরু মারা যায়। বেতগুড়ি চা বাগানের গুদাম লাইনেও দুটি চিতাবাঘের শাবককে দেখতে পাওয়া যায়। এলাকাতে ছোট চা বাগান আছে। যার জেরে গ্রামবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
মালবাজার বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের আধিকারিকরা সার্বিক বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তারা ধারাবাহিকভাবেই সমস্ত এলাকায় নজরদারি রেখেছেন। বনবিভাগের তরফে বলা হয়েছে চা বাগানে কাজের শুরুর সময় সতর্ক থাকতে হবে। পটকা ফাটিয়ে আওয়াজ করে কাজ শুরু করা জরুরি। সকল চা শ্রমিকেরা একযোগে একদিক থেকেই কাজ শুরু করাই শ্রেয়। নেপুচাপুড় চা বাগানে চিতাবাঘ ধরতে একটি খাঁচাও বসানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে পরিবেশ প্রেমীরাও। নেপুচাপুড় চা বাগানের বাসিন্দা তথা পরিবেশ কর্মী রমেশ লোহার বলেন, হঠাৎ করেই বিভিন্ন এলাকায় চিতাবাঘের আনাগোনা বেড়েছে। সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। অন্যথায় চিতাবাঘ মানুষ সংঘাত বাড়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।