শিলিগুড়িঃ দেখা মিলেছে দুটি চিতাবাঘের (Leopard Fear) শাবকের। রবিবার সন্ধ্যায় এমন খবর চাউর হতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ১ নম্বর ওয়ার্ডের ডিজেল কলোনির বাসিন্দারা। এলাকার লোকজনের বক্তব্য, শাবক যখন দেখা গিয়েছে, তখন চিতাবাঘও ঘাপটি মেরে রয়েছে এলাকায়। স্থানীয়দের মারফৎ খবর পেয়ে এদিন রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সারুগাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। স্থানীয়রা দাবি করেন এলাকায় খাঁচা পাতার। সোমবার সকাল হতেই এলাকায় শুরু হয় চিতাবাঘের খোজ। কিন্তু সেখানে চিতাবাঘের হদিশ না পেয়ে এলাকা ছেড়েছেন বনকর্মীরা। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু চিতাবাঘ বা চিতাবাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়নি, তাই এখনই খাঁচা পাতবে না বনদপ্তর।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি এই এলাকায় একটি চিতাবাঘের সন্ধান পাওয়া যায়। একটি ভিডিও দেখার পর বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে খাঁচা পেতেছিল বন দপ্তর। দুদিনের ব্যবধানে একটি চিতাবাঘ খাঁচা বন্দী হয়েছিল। রবিবার রাত থেকে ফের চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়ায় একই এলাকায়। এদিন সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ ওল্ড মাটিগাড়া রোডের ধারে দুটি চিতাবাঘ শাবককে দেখতে পায় বলে দাবি করে ওখানে খেলতে থাকা কিছু ছেলে। তাঁদের অনেকের দাবি, পর পর দুটি শাবককে দেখা গিয়েছে রাস্তা ধরে হেঁটে ডিজেল শেডের ঝোপের মধ্যে ঢুকে যেতে। এখানে থাকা রেললাইনের ধারে যথেষ্ট ঝোপ-জঙ্গল রয়েছে। ওই জঙ্গলে চিতাবাঘ থাকতে পারে বলে অনেকের বক্তব্য। স্থানীয় কাউন্সিলার তৃণমূলের সঞ্জয় পাঠক বলেন, ‘এবার কেউ ভিডিও করেনি। কিন্তু দুই-তিনজন চিতাবাঘের শাবক দেখেছেন বলে দাবি করেছেন। যেহেতু একবার চিতাবাঘ পাওয়া গিয়েছিল। তাই বিষয়টি হালকা ভাবে নিচ্ছি না। বন দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’ এদিন রাতে টর্চ এবং লাঠি হাতে স্থানীয়রা চিতাবাঘ এবং শাবকের খোঁজ করেছেন ডিলেল শেড সংলগ্ন এলাকায়। পাশাপাশি বন দপ্তরের সারুগারা রেঞ্জের একটি দল এলাকায় তল্লাশি চালায়। তবে চিতাবাঘ বা শাবকের দেখা পায়নি তাঁরা।
সোমবার সকালেও ডিজেল শেডের জঙ্গল ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় চিতাবাঘের তল্লাশি চালিয়েছেন রেঞ্জার প্রিয়া তামাংয়ের নেতৃত্বে বনকর্মীদের একটি দল। সেখানে ড্রোন উড়িয়ে ঝোপঝাড়ে চিতাবাঘের খোঁজ চালায় বনকর্মীরা। ফাটানো হয় পটকা। তা সত্ত্বেও সেখানে চিতাবাঘ থাকার কোন প্রমান মেলেনি। সেই কারণেই এই মুহূর্তে সেখানে খাঁচা পাতা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বনদপ্তর। তন্নতন্ন করে খুঁজে চিতাবাঘের অস্তিত্ব না পেলেও এখনও আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।