ধূপগুড়িঃ প্রথমে দেখে কেউ বলেছিল বনবিড়াল (Wild cat) আবার কেউ বলেছিল চিতাবাঘ (Leopard)। তবে নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল। তবে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে (Binnaguri wildlife squad) ঘটনা শুনতেই কিষাণ মান্ডি চত্বরে খাঁচা পেতে বন্যপ্রানীটিকে ধরার জন্যে টোপ দিয়েছেন। দেখা গিয়েছে, কিষাণ মান্ডির সীমানা প্রাচীর দিয়ে চিতাবাঘের মতোই বড় জন্তু হাঁটছে। স্থানীয়রা একটি ভিডিও তোলে, যা নিমেষেই ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিও দেখেই বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা খাঁচা পাতার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওই ভাইরাল ভিডিও যাচাই করে নি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। তবে বনবিড়াল হলে খাঁচা পাতা কতটা জরুরি তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে খাঁচা পাতার পরই অনেকের মধ্যেই ধারণা হয়েছে যে চিতাবাঘ বুঝেই বনদপ্তর খাঁচা পেতেছে। মঙ্গলবার ধূপগুড়ি কিষাণ মান্ডিতে ঝোপের আড়ালে টোপ দিয়ে খাঁচা বসানো হয়েছে।
এদিকে কিষাণ মান্ডির সঙ্গেই জনবসতি এবং ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তার দপ্তর রয়েছে। সেখানে নিয়মিত কাজের জন্যে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। স্বাভাবিক ভাবে চিতাবাঘ হয়ে থাকলে হামলা চালালে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। সহ কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মন বলেন, এর আগেও লোকালয়ে চিতাবাঘ বেরিয়েছিল। এক্ষেত্রেও না হওয়ার কিছু নেই। তবে পুরোটাই বনদপ্তর চিহ্নিত করবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বনদপ্তরের। এই খাঁচা পাতার পেছনে নির্বাচনী প্রস্তুতিও রয়েছে।
বনদপ্তরের একটি সূত্র বলছে, নির্বাচনের সময় কোনও বিপদ যাতে না ঘটে, সেই কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এলাকায় খাঁচা পাতা হয়েছে। তবে সচরাচর বনবিড়াল হলে খাঁচা পাতা হয় না। স্বাভাবিক ভাবে বনদপ্তর নিশ্চিত চিতাবাঘ বুঝতে পেরেই খাঁচা পেতেছে। বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জার ধ্রুবজ্যোতী বিশ্বাস বলেন, চিতাবাঘ অনুমান করেই খাঁচা পাতা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।