শিলিগুড়ি: লজের ম্যানেজারের সঙ্গে বোর্ডারের ঝামেলা। বোর্ডারের নামে ম্যানেজার পুলিশকে ফোনে অভিযোগ জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। কিন্তু ম্যানেজার পুলিশকে চিনতে না পারায় অভব্য আচরণ করেন। ফলে শুধু বোর্ডার নন, ম্যানেজারকেও গ্রেপ্তার (Arrested) করতে বাধ্য হয় পুলিশ। শুক্রবার রাতে এরকমই অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হল প্রধাননগর থানার পুলিশ।
ঘটনাটি কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, মোহালি থেকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) ঘুরতে এসেছিলেন বিনোদ বড়াল। বিনোদ জংশন এলাকার একটি লজে কয়েকদিনের জন্য ঘরভাড়া নিয়েছিলেন। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বিনোদ মদ্যপ অবস্থায় লজে ঢোকেন। এরপরই লজের ম্যানেজার দীপক দেবের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। থামার বদলে ক্রমে বচসা বাড়তে থাকে। বচসা চলাকালীন দীপককে মারার জন্য বটল ওপেনার বের করে আঘাতের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে বিনোদের বিরুদ্ধে। এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দীপক প্রধাননগর থানায় অভিযোগ জানান। প্রধাননগর থানার পুলিশ ওই লজে এসে পৌঁছায়। আসল ঘটনা ঘটে এরপর। লজে পৌঁছানোর পর দীপকের হাবভাব দেখে চমকে ওঠেন পুলিশকর্তারা। তাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি, দীপক নিজেও মদ্যপ অবস্থায় রয়েছেন। জানা গিয়েছে, পুলিশকর্মীরা নিজেদের পরিচয় দিলেও ওই ম্যানেজার তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে থাকেন। কাজে বাধাও দেন। এরপর পুলিশ বাধ্য হয়ে প্রথমে দীপককে গ্রেপ্তার করে। তারপর বিনোদকে। পরে হোটেল মালিক ম্যানেজারকে ছাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে প্রধাননগর থানায় যান। কিন্তু পুলিশ রেয়াত করেনি। মদ্যপ অবস্থায় অভব্য আচরণের অভিযোগে দুজনকে শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক অবশ্য ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করে দেন।
গত কয়েক মাসে শহর শিলিগুড়িতে অনেকবারই পুলিশকে হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে। রেগুলেটেড মার্কেটে জুয়ার আসরে হানা দিয়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি, বিহারের এক ইউটিউবার সিগন্যাল ভেঙে যাওয়ার সময় তাঁকে আটকানোর জন্যও হেনস্তার শিকার হতে হয় ট্রাফিক পুলিশকর্মীকে। দুই ঘটনাতেই পুলিশি তরফে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে শুক্রবারের রাতের ঘটনায় অবশ্য কোনও ছাড় দেয়নি পুলিশ।