রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবিতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় সরব হয়েছে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের একাংশ। এই দাবিতে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে রবিবার গোপন বৈঠক করলে জনাকয়েক বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী। এদিন বিজেপির এক কার্যকর্তার বাড়িতে বৈঠকে শামিল হন তাঁরা। বিভিন্ন ব্লক থেকে প্রায় ৫০ জন কার্যকর্তা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বলে খবর।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের কর্নজোড়া ছটপড়ুয়া এলাকায় রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা দ্বারিকা নাথ বর্মনের বাড়িতে দুপুর ১২ টায় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে ছিলেন বিজেপির বহিস্কৃত প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী, প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি বীনা ঝা সহ অন্যান্যরা। বিজেপির প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি বীনা ঝা বলেন, “দলের বহিরাগত জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারকে অপসারণ এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচী নিতেই আজ আমাদের গোপন বৈঠক হয়েছে। দলের কার্যকর্তারা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে বিজেপির জেলা কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হবে। এরপর প্রতিটি বিধানসভায় পদযাত্রা এবং শেষে জেলা কার্যালয়ের সামনে আমরন অনশন ও মহিলাদের মাথা ন্যাড়া কর্মসূচী হবে। তিনি বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অনুমতি মিলছে না। অনুমতি না মিললে পরীক্ষা শেষ হলেই লাগাতার কর্মসূচী নেওয়া হবে।
প্রাক্তন সহ সভাপতি বীনা ঝা আরও বলেন, “আমরা নাগরিক মঞ্চের ব্যানারে অনশন করলেও বিজেপির পতাকা ও ফেস্টুন থাকবে। কারণ আমরা প্রকৃত বিজেপি কর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির বর্তমান জেলা সভাপতি আমাদের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তাই এমন বহিরাগত জেলা সভাপতিকে চাই না। কারন উনি বালুরঘাট লোকসভার বাসিন্দা।”
যদিও বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য শঙ্কর চক্রবর্তী জানান, ওনাদের যা কিছু দাবি আছে ওনারা তা রাখতেই পারেন। যে পদ্ধতিতে রাখতে চান সেই পদ্ধতিতে রাখতে পারেন। কিন্তু দেবশ্রী চৌধুরী প্রার্থী হবেন কি হবেন না বা অন্য কেউ প্রার্থী হবেন কিনা সেই ব্যাপারে দল এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সেজন্য আমরা কেউই জানিনা কে প্রার্থী হবেন। ওনারা যদি এভাবে আন্দোলন করেন তাতে দলের ভালোর চেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। পদ্ধতি যাই হোক ওনারা ওনাদের দাবি দাওয়া দলীয় নেতৃত্বের কাছে রাখতে পারেন। যদি এমন হয় তবে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সেটা দেখবে। আলোচনার রাস্তা নিশ্চয়ই থাকবে।