সৌরভকুমার মিশ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর: লোকসভা ভোটের (Lok sabha election 2024) নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই জারি হয়েছে নির্বাচনি আচরণবিধি। এরই মধ্যে বিধি ভেঙে হরিশ্চন্দ্রপুরের সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই পরিযায়ী শ্রমিককে আর্থিক সাহায্যের অভিযোগ উঠল শাসকদলের জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের বিরুদ্ধে। উত্তর মালদার তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচারে বেরিয়ে বুলবুল আচরণ বিধি ভেঙেছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এবিষয়ে তারা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যদিও সাহায্যের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শাসকদলের নেতা বুলবুল খান। তাঁর সাফাই, ‘আমি সারা বছরই অসহায় মানুষের পাশে থাকি, সাধ্যমতো তাঁদের সাহায্য করি, আজও করেছি। এর মধ্যে রাজনৈতিক কোনও উদ্দেশ্য নেই। বিরোধীরা আমার নামে কুৎসা রটাতেই এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে।’
এ প্রসঙ্গে ব্লক নির্বাচনি আধিকারিক তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-২ এর বিডিও তাপস পাল বলেন, ‘ঘটনার কথা জানা নেই। কোনও অভিযোগ হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’
তবে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কিষাণ কেডিয়ার বক্তব্য, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। আমরা বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মুর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।’
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেছেন, ‘টাকা ছড়িয়ে ভোটের আগে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে তৃণমূল। আমরা এর বিরোধিতা করছি। এনিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব।’
কংগ্রেসের উত্তর মালদার ওয়ার রুমের কো-অর্ডিনেটর মাসুদ আলমের বক্তব্য, ‘নির্বাচনি আচরণ বিধি জারি হয়েছে। এর মধ্যে এসব কখনওই কাম্য নয়। আমরাও কমিশনে অভিযোগ জানাব।’