ময়নাগুড়ি: খাতায়-কলমে শহরের তকমা মেলার বছর তিনেক হতে চলেছে। তবে শহরের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত গেটওয়ে অফ ডুয়ার্স বলে পরিচিত ময়নাগুড়ির (Mainaguri) বাসিন্দারা। এ নিয়ে পুরসভার উপর নাগরিকদের ক্ষোভকে হাতিয়ার করে শহরে ভালো ফলের আশায় বিজেপি। অপরদিকে, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী প্রকল্পের ওপর ভর করে মহিলা ভোট টেনে নির্বাচনি বৈতরণি পার করতে ময়নাগুড়ি শহরজুড়ে জোর প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অনেক আন্দোলনের পর ২০২১ সালের জুন মাসে ময়নাগুড়ি শহরের তকমা পেলেও আজও বহু নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ময়নাগুড়ির বাসিন্দারা। যানজট অন্যতম প্রধান সমস্যা। বিশেষ করে ময়নাগুড়ি ট্রাফিক মোড়ে রাস্তা সম্প্রসারণ না হলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটও বেহাল। বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার টেন্ডার হলেও আগামী বর্ষার আগে এই কাজগুলো আদৌ সম্পন্ন হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
আরেকটি বড় সমস্যা নিকাশি ব্যবস্থার। সামান্য বৃষ্টিতেই শহরের ৪, ১০ নম্বর ওয়ার্ড সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলসংযোগের কাজও থমকে রয়েছে। আর এইসব বিষয়কেই হাতিয়ার করে ময়নাগুড়ি শহরজুড়ে জোর প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। দলের ময়নাগুড়ি টাউন মণ্ডল সভাপতি সঞ্জীব বর্ধন বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও কাটমানি ছাড়া তৃণমূল আর কোনও কাজই করেনি। শহরের নাগরিক পরিষেবাকে প্রহসনে পরিণত করেছে তৃণমূল। যার জেরে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শহরে তাঁদের দল ব্যাপক লিড পাবে বলে দাবি সঞ্জীব বর্ধনের।’
অপরদিকে লক্ষীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো মহিলাদের প্রকল্পকে সামনে এনে জোর প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাঁড় নিয়ে দলীয় মহিলা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি প্রচারে দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ব্লক সহ সভাপতি ঝুলন সান্যাল বলেন, ‘শহরের রাস্তাঘাটের সমস্যার জন্য বেশ কয়েকটি রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের কাজের টেন্ডারও হয়ে গিয়েছে। অল্পদিনের এই পুরসভা যথাসাধ্য কাজ করে চলেছে। মানুষ শাসকদলের কাজে যথেষ্ট সন্তুষ্ট।’