পল্লব ঘোষ, আলিপুরদুয়ার: দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বুধবার হইচই শুরু হয় বিবেকানন্দ-২’এর সূর্য সেনপল্লি এলাকায়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিকবড়াইকের সমর্থনে লেখা দেওয়াল লিখনের পাশে থাকা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবিকে কেন্দ্র করেই ছড়ায় বিতর্ক। কারণ দেওয়াল লিখনে প্রার্থীর নামের পাশেই জ্বলজ্বল করছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি। প্রার্থীর নামের পাশে কীভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি থাকতে পারে, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় এলাকায়। প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে রাজনীতির সঙ্গে যুক্তরাও। এই ঘটনায় তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়ছে না বিরোধীরাও।
আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের অন্তর্গত বিবেকানন্দ-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সূর্য সেনপল্লিতে উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার সূর্য সেনের মূর্তির কয়েক হাত দূরত্বেই এই দেওয়াল লিখনের দৃশ্য। সেখানে আলিপুরদুয়ার লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিকবড়াইককে জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার প্রার্থনা করে দেওয়াল লিখনের পাশেই জ্বলজ্বল করছে নেতাজির ছবি। যা দেখে মনে হতেই পারে দেওয়াল লিখনের সঙ্গে এই ছবির সম্পর্ক রয়েছে। যদিও মাঝে একটা হালকা ব্র্যাকেট রয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক দৃষ্টিতে তা এক ফ্রেমেই মনে হয়। নির্বাচনি প্রচারের এমন দৃষ্টিকটু দৃশ্যে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় রিঙ্কু রায় বলেন, ‘নেতাজির মতো এক ব্যক্তিত্বের ছবি কোনও রাজনৈতিক দলের ভোটের প্রচারে দেওয়াল লিখনের পাশে দেখতে দৃষ্টিকটু লাগছে। লেখার সময় কি অন্ধ হয়েছিলেন?’
বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গাও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বলেন, ‘প্রকাশ চিকবড়াইকের সমর্থনে দেওয়াল লিখন মনে হচ্ছে। তৃণমূলের সংস্কৃতিতে এমন মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। নেতারা কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা দুর্গা, সরস্বতী কিংবা মা সারদার সঙ্গে তুলনা করেন, আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রামকৃষ্ণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এদের থেকে এর চেয়ে বেশি কী আশা করব। ছবিটা দৃষ্টিকটু। ভুল শুধরে নেওয়া উচিত, এমন কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।’
যঁার প্রচারে দেওয়াল লিখন নিয়ে এত বিতর্ক সেই প্রকাশ চিকবড়াইক বলেন, ‘নেতাজি আমাদের দেশের গর্ব। তঁার সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। যদিও ছবির সঙ্গে দেওয়াল লিখনের মাঝে ব্র্যাকেট রয়েছে। এতে বিতর্কের কোনও কারণ নেই।’
এবিষয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক করুণ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘নেতাজির ছবির পাশে নাম লিখিয়ে যদি কেউ বাড়তি সুযোগ বা সুবিধের আশা করেন তাহলে তা ভুল। ধিক্কার এই ধরনের কাজকে।’