রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি: ভোট (Lok Sabha Election 2024) ঘোষণার পর অনীত থাপার (Anit Thapa) ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম) পাহাড়ে একাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের সমর্থিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে অনীত গ্রাম থেকে শহর ছুটছেন। সর্বত্রই তিনি বলছেন, ‘বিজেপিকে ১৫ বছর ধরে ভোট দিয়েছেন। আমাদের একবার সুযোগ দিন। পাঁচ বছরে আমরা পাহাড়ের উন্নয়নের চিত্র বদলে দেব।’ অনীত বলেছেন, ‘গোপাল লামার মতো একজন প্রাক্তন আমলাকে পাহাড়ের উন্নয়নে শামিল করতে পারলে আমাদেরই লাভ হবে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক যে পাহাড়ের মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছেন না সেটা বুঝেই অনীত বলেছেন, ‘প্রথমেই আমাদের মন থেকে প্রতীকের ইস্যু ঝেড়ে ফেলতে হবে। প্রতীকই সবকিছু নয়। নিজেদের মনোভাব বদলাতে হবে, ব্যক্তি গোপাল লামাকে নিয়ে মানুষের দরজায় যেতে হবে।’
তৃণমূল (TMC) প্রার্থী গোপাল লামা (Gopal Lama) গত ১২ মার্চ থেকে প্রচারের ময়দানে। এখনও অন্য কোনও দল প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। ফাঁকা ময়দানে পাহাড়-সমতল ঘুরে তিনি প্রচার করছেন। কয়েকদিন সমতলের শিলিগুড়ি, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়ায় প্রচার সেরে গোপাল বৃহস্পতিবার থেকে ফের পাহাড়ের মাটিতে। এদিন তিনি কার্সিয়াং টাউন হলে কর্মীসভায় অংশ নেন। রীতিমতো হাইটেক এই প্রচারে চারিদিকে এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেখানে গোপালের ছবি সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রচারের ভিডিও এবং তাঁর জীবনী তুলে ধরা হচ্ছিল। সভামঞ্চেও এলাহি ব্যবস্থা ছিল। গোপালকে মঞ্চে তুলে একে একে সর্বস্তরের নেতা-নেত্রীরা খাদা পরিয়ে বরণ করেন। পিছনে লোকসভা ভোটের প্রার্থীকে নিয়ে তৈরি গান বাজছিল। নেতা-কর্মীরা তাতে তাল মেলাচ্ছিলেন। এখানেই গোপাল বারবার বলেন, ‘আমি দিল্লি থেকে পাঠানো প্রার্থী নই। আমি গোর্খা ছদ্মবেশীও নই। আমি এখানকারই মানুষ।’ তিনি বলেছেন, ‘আঞ্চলিক দলকে শক্তিশালী করতে চাইলে সংসদ ও বিধানসভায় প্রতিনিধি পাঠাতে হবে। আমরা সেটাই করতে চাইছি। সংসদে দাঁড়িয়ে শুধু ভাষণ দিলেই কাজ হবে না। কাজও করে দেখাতে হবে।’
এই সভায় অনীত বলেছেন, ‘পাহাড় সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিজেপি আমাদের কাছে ২০০৯ সাল থেকে ভোট নিয়েছে। কিন্তু আমাদের সমস্যা যেখানে ছিল সেখানেই রয়ে গিয়েছে। বিজেপি কাজের কাজ কিছুই করেনি। তাহলে আবার কেন বিজেপিকে ভোট দেব? তাই এবার পাহাড়ে পরিবর্তন করতে হবে। আগে আপনারা নিজের মনোভাব বদলান। প্রতীক কী রয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার করুন। এবার আমাদের জিততেই হবে।’