কোচবিহার: বৃহস্পতিবার কোচবিহারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত ডাক পাননি বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ নগেন রায়। শেষপর্যন্ত সভায় প্রধানমন্ত্রীর পাশে তাঁকে দেখা যাবে, রাজনৈতিক মহলে তা লাখ টাকার প্রশ্ন। বিজেপির তরফে কোনও আমন্ত্রণ পাননি বলে নগেন এদিন জানিয়েছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সভার মূল মঞ্চে প্রথম সারিতে মহিলা নেতৃত্বকে রাখার বার্তা এসেছে দিল্লি থেকে। ছয়জন নেত্রী থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে। তবে তাঁদের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হলেও লোকসভা ভোটের প্রচারে দলের হয়ে নগেনকে দেখা যাচ্ছে না। কোচবিহার আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে তিনি থাকলেও তারপর থেকে নগেন কিছুটা আড়ালেই থাকছেন। দু’তরফে দূরত্বটা বেশ স্পষ্টভাবে প্রকাশ্যে আসছে। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের কর্মী-সমর্থকদের উপর নগেন রায়ের প্রভাব এবং কোচবিহার আসন ধরে রাখতে রাজবংশী ভোট কতটা ফ্যাক্টর, সেটা ভালো করেই জেলা ও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব জানেন। ভোটের আগে তাই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হোক, তা বিজেপির নেতারা একেবারেই চাইছেন না। দলের জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘উনি আমাদের সাংসদ। অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সভায় থাকবেন।’ রাজ্যসভার সাংসদ বলছেন, ‘আমন্ত্রণ পেলে যাব। কিন্তু এখনও তা পাইনি।’
রাসমেলা মাঠে প্রধানমন্ত্রীর সভার মঞ্চ তৈরির কাজ জোরকদমে শুরু হয়েছে। দুটি মঞ্চ করা হবে। একটিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরেকটিতে জনসভা হবে। মূল মঞ্চে প্রথম সারিতে ছয়জন মহিলা নেত্রীকে রাখার নির্দেশ দিল্লি থেকে পাঠানো হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে তিনজন করে মহিলা নেত্রী থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর দু’পাশে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের দলীয় প্রার্থীরা থাকবেন। তারপর দুই জেলা সভাপতি ও রাজ্য নেতৃত্ব থাকবেন। তঁাদের পাশেই ছয়জন মহিলা নেত্রী থাকবেন।