রায়গঞ্জঃ রায়গঞ্জের ছত্রপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবাশ্রমের দুর্গা পুজোর এবার ১৪ তম বর্ষ। রায়গঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৭ কিমি দূরে ছত্রপুরে অবস্থিত রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম। গত ১৩ অক্টোবর রামকৃষ্ণ মিশনের অধীনে চলে এসেছে এই আশ্রমটি। ফলে আগামী বছর থেকে এখানকার পুজোর দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে চলে যাবে রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এবারই শেষ দুর্গা পুজো ও শেষ কুমারী পুজো। তাই এবছর অষ্টমীর দিন কুমারী পুজোকে কেন্দ্র করে আশ্রম প্রাঙ্গণে ভিড় ছিল যথেষ্ট। রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু সাধারণ মানুষ কুমারী পুজো দেখতে এসেছিল।
পুজোকে কেন্দ্র করে আশ্রমে মহালয়া থেকে শুরু হয়েছে নানান অনুষ্ঠান। গত ২ অক্টোবর রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পরেশাত্মনন্দ মহারাজ ১০০ জন দুঃস্থ মহিলার হাতে শাড়ি তুলে দেন। এদিন কুমারী পুজোর পাশাপাশি নেশা মুক্ত কেন্দ্রের যুবকেরা ৫০ জন দুঃস্থ শিশুর হাতে তুলে দেওয়া হয়। এদিন সকাল ১০ টায় আশ্রমে হয় কুমারী পুজো।
এবারে আশ্রমে কুমারী পুজো দেওয়া হয় স্থানীয় বোগ্রামের সাত বছরের সৌরিতা ঘোষের। সৌরিতা সারদা শিশু বিদ্যামন্দিরের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা শোভন ঘোষ এবং মা কথাকলি চক্রবর্তী ঘোষ। এবারে বেশ কয়েকজন কুমারী পুজো নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, এদের মধ্যে সৌরিতাকে মনোনীত করেছে আশ্রম কতৃপক্ষ। মা কথাকলি চক্রবর্তী জানান, অষ্টমীতে মায়ের মূর্তির পাশে মেয়ের কুমারী পুজো হচ্ছে তাই ভীষণ ভালো লাগছে। এদিন পুজো শুরু হতেই দেখা গেল সৌরিতা পুরোহিতের নির্দেশ পালন করছে। চারিদিকে এত মানুষের ভিড় এবং তাকে পুজো করায় অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
রামকৃষ্ণ আশ্রমের সভাপতি কমল দাস বলেন, আমাদের এখানে ১৪ বছর ধরে কুমারী পুজো হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমাদের আশ্রম রামকৃষ্ণ মিশনের অধীনে চলে গেছে। গত ১৩ অক্টোবর বেলুড় মঠকে আমরা হস্তান্তর করে দিয়েছি। এটা আমাদের পরিচালনায় শেষ পুজো। আগামী বছর থেকে রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত পুজো হবে। এজন্য ভীষণ ভালো লাগছে।