হরিশ্চন্দ্রপুর: কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব বিলি, সাইকেল বিলি সহ একাধিক প্রকল্পে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা দপ্তরকে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয় পরিদর্শককে। যদিও সেই নির্দেশের পরেও এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের হয়নি এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের তালবাংরুয়া হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ খাইরুল আলমের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি এবং আর্থিক তছরূপের অভিযোগ উঠে। অভিযোগ মহম্মদ খাইরুল আলম কন্যাশ্রী প্রকল্প, সবুজ সাথী প্রকল্প থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের একাধিক প্রকল্পের নাম নথিভুক্ত করার জন্য কাটমানি নিচ্ছেন। এমনকি অবৈধভাবে দুর্নীতি করে টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী না এমন অনেকজনের নামও নথিভুক্ত করেছেন প্রকল্পগুলিতে। এছাড়াও মাদ্রাসার তহবিলের টাকা তছরূপ, পরিচালন সমিতির নির্বাচন আটকে রাখা সহ একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিভাবকদের একাংশ শিক্ষা দপ্তরের কাছে এই সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরও কোনও পদক্ষেপ না হওয়ায় তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তারপরেই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
নির্দেশানুযায়ী তদন্তের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়তেই অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিদর্শককে অভিযোগ দায়ের করে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও রায়ের পরেও এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি আধিকারিকদের পক্ষ থেকে, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা। এ প্রসঙ্গে ওই হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক খাইরুল আলমকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সুজিত সামন্ত আদালতের এই ধরনের কোনও নির্দেশ থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।