নাগরাকাটা: কালীপুজোয় উলটো ঘর বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নাগরাকাটার সার্কাস লাইন মহিলা মিলন সমিতি। এলাকার প্রমীলাদের উদ্যোগে আয়োজিত ওই পুজোর এবার তৃতীয় বর্ষ। ফিনিশিং টাচ না পড়লেও এখনই ওই প্যান্ডেল দেখতে নাগরাকাটার আট থেকে আশি সবারই ডেস্টিনেশন সার্কাস লাইন। পুজো কমিটির সভাপতি পার্বতী বর্মন বলেন, ‘উলটো ঘরের নাম সবাই শুনেছি। তবে অনেকেরই তা চাক্ষুস দেখা হয়নি। প্যান্ডেলই যদি হুবুহু ওই ঘরের মতোই করা হয় তাহলে বহু মানুষের কাছে তা আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে। এমন ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ।
সরস্বতী মণ্ডল, মমতা মিঞ্জ, শিশুবালা বর্মন, স্বপ্না রায়, বিদ্যা মণ্ডলদের মতো মহিলাদের এই পুজোয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গ্রামের পুরুষরাও। অশোক মণ্ডল নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘আগামী কয়েকদিন পুজো মণ্ডপই এলাকাবাসীর ঘর বাড়ি হয়ে উঠবে। সবার মিলিত উদযাপনের আনন্দই আলাদা।‘
সার্কাস লাইনের পুজোর ক্যাচ লাইন অভিনব উলটো ঘর হলেও অন্তরঙ্গে এর তাৎপর্য কিন্তু অন্য স্থানেও। যেখানে পুজো হচ্ছে তার গা ঘেষেই একটি মসজিদ। এলাকাটি মুসলমান সম্প্রদায় অধ্যুষিত। তাঁরাও এই পুজোতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। যে কারণে সব ধর্ম সমন্বয়ের মিলনস্থলও যেন হয়ে উঠেছে ওই গ্রাম। যে কারণে এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত সঞ্জীব বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি মানবতায়। মিলেমিশে থাকাই এই গ্রামের চিরন্তন ঐতিহ্য। মুসলিমদের উৎসব হোক বা হিন্দুদের। সবাই এখানে নিজেদের মতো করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এমনটাই তো ভারতের আসল সংস্কৃতি।‘ মণ্ডপশিল্পী মেঘনাদ মণ্ডল বলেন, ‘কাজটি করে খুব তৃপ্তি পাচ্ছি।‘