ময়নাগুড়িঃ ময়নাগুড়িতে ঝড় পরবর্তি বিধ্বস্ত এলাকায় ছড়াতে শুরু করেছে পেটের রোগ ও জ্বর। শুক্রবার ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় বেশ কয়েকজন শিশু ও মহিলার পেটের রোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন শিশু জ্বরে আক্রান্ত। রোগ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরার আগে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বাড়ি বাড়ি মেডিকেল টিম পাঠাতে শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন আগেই। ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে দুর্গত এলাকায় ছড়াতে পারে পেটের রোগ। সেই আশঙ্কাই সত্যি হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই ঝড় বিধ্বস্ত ময়নাগুড়ি ব্লকের গ্রামগুলিতে শুরু হয়েছে পেটের রোগ। বিশেষ করে শিশু ও মহিলাদের মধ্যে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দুর্গত এলাকায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি ঘুরে অসুস্থদের শারিরীক পরিস্থিতির খোঁজ নেন ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সিতেস বর। পরিস্থিতি বুঝে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে, প্রশাসনের পাশাপাশি দুর্গত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শুধু উত্তরবঙ্গই নয় দুর্গতদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি সংস্থা। সকাল থেকে ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরতে থাকেন ময়নাগুড়ির বিডিও প্রসেনজিৎ কুন্ডু। এলাকায় দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক তেজস্বী রানা। বিদ্যুৎ দপ্তরের থেকে বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। যাদের মিটার ঝড়ে উড়ে গিয়েছে তাদেরকে নতুন মিটার দেওয়া হচ্ছে। এদিন ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষকে দেখা যায় অন্য অন্য পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঝড়ে ভেঙে যাওয়া এক অসহায় ব্যাক্তির বাড়ি তৈরির কাজে হাত লাগাতে। এদিন কৃষি দপ্তরের থেকে ঝড় বিধ্বস্ত তিনটি এলাকায় শিবির করা হয়। শিবির গুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিচ্ছে কৃষি দপ্তর। তদারকি করছেন ময়নাগুড়ির ব্লক কৃষি আধিকারিক গার্গি পাল। শিবির শুরু হতেই সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পড়ে যায় কৃষকদের লম্বা লাইন।