উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ত্বকের সুস্থতা আর উজ্জ্বলতার জন্য সঠিক খাওয়াদাওয়া আর নিয়মিত ব্যায়াম যতটা জরুরি, ঠিক ততটাই প্রয়োজনীয় সঠিক প্রডাক্টের ব্যবহার? ইদানীং রূপচর্চার দুনিয়ায় সিরামের গুরুত্ব খুব বেড়েছে– ত্বক আর চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য তার ব্যবহার হচ্ছে। ত্বকের প্রকৃতি তৈলাক্তই হোক বা শুষ্ক, তার আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য কিন্তু তেলের প্রয়োজন আছেই। সিরাম সেই তেলের জোগান দেয়। তাই মসৃণ ও ঝকঝকে ত্বকের পেতে চাইলে সিরাম ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনও রাস্তাই নেই! মনে রাখবেন, ত্বকের প্রকৃতি তৈলাক্ত বা স্বাভাবিক হলেও কিন্তু তার তেলের প্রয়োজন রয়েই যায়। যদি আপনি ব্রণর আতঙ্কে ত্বকে তেলের ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তা হলে কিন্তু লাভ হবে না! উলটে যত বেশিবার তেল ধুয়ে ফেলার উপযোগী সাবান ব্যবহার করবেন, তত বেশি করে তেল তৈরি করবে আপনার সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড। তাই সিরাম তৈরির সময়েও সতর্ক হতে হবে।
এক্সট্রা ভার্জিন এবং কোল্ড প্রেসড নারকেল তেল ভারতীয়দের ত্বকে সাধারণত খুব ভালো কাজ করে। একান্ত যদি আপনার ত্বকে তা না স্যুট করে, তা হলে সুইট আমন্ড অয়েল বেছে নিন। তেলটি যেন কোল্ড প্রেসড ও খাঁটি হয়, তা দেখবেন। এটি আপনার ক্যারিয়ার অয়েল হিসেবে কাজ করবে – একটি মাঝারি আকারে কাচের শিশির অর্ধেকটা এই তেল দিয়ে ভরুন। তার পর দিন এক টেবিলচামচ ভিটামিন-ই তেল– এটিও শুদ্ধ হওয়া বাঞ্ছনীয়। একেবারে শেষে ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ২০ ফোঁটা টি ট্রি/ চন্দন/ ইলাং ইলাং/ পিপারমিন্ট অয়েল নিন। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য আদর্শ ল্যাভেন্ডার, জিরেনিয়াম তেল। শুষ্ক ত্বকে ব্যবহার করুন চন্দন, গোলাপ, ইলাং ইলাংয়ের মধ্যে যে কোনও একটি। সেনসিটিভ স্কিনের জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে চন্দন আর ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল। এবার দু’হাতের পাতার মধ্যে বারবার রোল করে তেলগুলি মিশিয়ে নিন। প্রতিবার ব্যবহারের আগেও তেমনটাই করা উচিত।
কীভাবে ব্যবহার করা উচিত:
মুখ পরিষ্কার করে টোনার লাগিয়ে নিন। তার পর কপালে ও দুই গালে ড্রপারে করে এক এক ফোঁটা তেল দিন। তারপর হালকা হাতে আপওয়ার্ড স্ট্রোকে তা ম্যাসাজ করুন। সকালবেলা স্নান করার পর এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ব্যবহার করুন। একান্ত প্রয়োজন পড়লে এর পর ময়েশ্চরাইজার লাগাবেন। ত্বক দীর্ঘদিন বলিরেখামুক্ত রাখতে সাহায্য করবে এই সিরাম।