উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ দু একটি বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ছাড়া একপ্রকার নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে রাজস্থানের ভোটগ্রহন পর্ব। শনিবার রাজ্যের ২০০টির মধ্যে ১৯৯টি আসনে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। নিবার্চন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী শনিবার বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত রাজস্থানে ভোটের হার ছিল ৬৮.২৪%। ভোটের এই হার দেখে ক্ষমতায় আসতে আশাবাদী কংগ্রেস-বিজেপি উভয়েই।
কংগ্রেস মনে করছে, রাজ্যের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কর্মসূচির উপর ভিত্তি করেই মানুষ ভোট দিয়েছেন। তাই এবারও ক্ষমতা আসবে কংগ্রেস। যেহারে ভোট পড়েছে তাতে ক্ষমতায় আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।রাজস্তানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, ‘আমাদের পক্ষেই রাজ্যেবাসীর সমর্থন রয়েছে। আমরাই এবার জিতব এবং সরকার গড়ব। তিনি আরও বলেন, আমরা এবার স্থানীয় ইস্যু ও সুশাসনের ওপর ভিত্তি করে ভোটে নেমেছি। রাজ্য বিধানসভায় বেশ কিছু ভালো আইন পাশ হয়েছে যে বিজেপি নেতারা বাইরে থেকে সে শুধুমাত্র উসকানি দিয়েছেন। রাজস্থানের মানুষ সব বোঝেন।অপর কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট বলেন, ‘রাজস্থানের মানুষ নতুন সরকার গড়তে ভোট দিয়েছেন। এবারও রাজস্থানের কংগ্রেসই সরকার গড়বে’।
ভোটের উচ্চ হারের প্রসঙ্গে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মুমতাজ মসিহ বলেন, ‘রাজস্থানের মানুষ কংগ্রেস সরকারকে ফের ক্ষমতায় আনতে উৎসাহী এবং সে কারণেই তাঁরা ভোট দিচ্ছেন। এসটি, সংখ্যালঘুদের ভোটের পাশাপাশি মীনা ও মালি সম্প্রদায়ের ভোট তারা এবার পেয়েছে। মনে হচ্ছে বিজেপির থেকে মুখ ঘুরিয়েছে মালি সম্প্রদায় তারা আমাদের পক্ষেই ভোট দিয়েছে’।
অপরদিকে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাযে সিন্ধিয়া বলেন, “আমি গেহলটের সঙ্গে একমত। রাজস্থানে চোরাস্রোত বইছে। তবে সেটা ৩ ডিসেম্বর টের পেয়ে যাবেন। এই চোরাস্রোত বিজেপির পক্ষেই থাকবে।
রাজ্য বিজেপির মতে, পূর্ব রাজস্থানে গুজ্জর সম্প্রদায়ের ভোটাদের হার বেশি। তাই ওই অঞ্চলে বুথের ভিড় বলে দিচ্ছে, সম্প্রদায়টি গেরুয়া শিবিরের পক্ষেই মত দিয়েছে। কারণ, শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী না করার জন্য কংগ্রেসের উপর তারা যথেষ্ট বিরক্ত ছিল।
বিজেপির মুখপাত্র লক্ষ্মীকান্ত ভরদ্বাজ বলেন,’গত নির্বাচনে, শচীন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হবেন এই আশায় গুজ্জররা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তাদের আশা ভণ্ডুল করেছে কংগ্রেস। তাই গুজ্জররা কংগ্রেসের উপর ক্ষুব্ধ। তাই তারা এবার বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।