চাঁচল: গ্রামে কারোর অসুখ হলেই দায়ী করা হত তাঁকে। গ্রামবাসীর সন্দেহ ছিল তিনি তন্ত্রসাধনা করেন। সেই সন্দেহের বসে একাধিকবার হেনস্তা করা হয়েছে! এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে সালিশি সভা করে মল-মূত্র খাইয়ে করা হয়েছে মারধরও! তারপরেই বাড়ির পিছনে গাছ থেকে উদ্ধার হয় বছর ৬০-এর জয়দেব বর্মনের ঝুলন্ত দেহ (Death Case)। কুসংস্কারের জেরে তাঁর প্রাণ গিয়েছে বলে দাবি পরিবারের। ঘটনায় মালদার (Malda) চাঁচল থানায় ১০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।
ঘটনাটি চাঁচল ১ (Chanchal) নম্বর ব্লকের ভগবানপুর গ্রামের বর্মনপাড়ার। এই ধরনের কুসংস্কার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্নের মুখে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকাও।
গত ২৬ মার্চ গ্রামের এক কিশোরীর জ্বর হয়। এরপরই গ্রামবাসীদের একাংশ দাবি করেন, জয়দেবের তন্ত্রসাধনার কারণেই ওই কিশোরীর জ্বর হয়েছে। এ নিয়ে সালিশি সভার নাম করে জয়দেবকে প্রকাশ্যে মল-মূত্র খাওয়ানো হয়। তাঁর এক আত্মীয়কে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলেও কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। গত বুধবার রাতে জয়দেবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান কয়েকজন। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির পিছনে একটি গাছ থেকে জয়দেবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।