চাঁচল: পেটের টানে ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে ফের মৃত্যু হল মালদার এক শ্রমিকের। ভিনরাজ্য থেকে দেহ নিয়ে আসার খরচ কীভাবে জোগাবে, তাই ভেবে পাচ্ছে না পরিবার। সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে তারা। এলাকায় কর্মসংস্থান না থাকার কারণেই পেটের টানে এলাকার যুবকদের বাইরে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। মৃত্যু নিয়েও তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকার কারণে এলাকার যুবকদের বাইরে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এদিকে, রাজ্য সরকার কর্মসংস্থান দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে পালটা অভিযোগ তোলে বিজেপি।
মৃত যুবকের নাম রমজান খান (২২)। সে মালদা জেলার চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের কলিগ্রামের শহরবাগের বাসিন্দা ছিল। এলাকায় কাজ নেই। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা। সংসারের হাল ধরতে পাড়ি দিয়েছিল ভিনরাজ্যে। দীর্ঘ দু’বছর ধরে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করত রমজান। পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভোটও দিতে এসেছিল বাড়িতে। ভোট দিয়ে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতে যায় ছত্তিশগড়ে। এক মাস কাজ করে আবার মহরমে আসার কথা ছিল তার। তবে আর তার ফেরা হল না। রবিবার রাত ন’টা নাগাদ বাড়িতে ফোন মারফত জানানো হয়, কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে রমজানের। এদিকে, সুদূর ছত্তিশগড় থেকে রমজানের দেহ কীভাবে বাড়িতে আনা হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পরিবার। সরকারের কাছে ছেলের দেহ আনার বন্দোবস্ত করার আবেদন জানিয়েছেন বাবা একলাকুল খান।
মালদা জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমরা দেহ আনার ব্যবস্থা করছি। তবে বিজেপি এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে। ওই পরিবারের পাশে তৃণমূল রয়েছে।’ বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুভাষকৃষ্ণ গোস্বামীর অভিযোগ, ‘তৃণমূল সরকার কর্মসংস্থান দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। রাজ্যে কাজ নেই। পেটের টানে যুবকরা বাইরে যাচ্ছে। এর দায় তৃণমূলকে নিতে হবে।’