মালদা: দক্ষিণ মালদা (Malda) লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইংরেজবাজার। এদিকে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো উঠে এসেছে সুজাপুর (Sujapur)। এলাকায় বিধায়কের দেখা না পেয়ে কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। আসন্ন নির্বাচনে এই দুই বিধানসভা এলাকার ভোট ব্যাংক যে শাসকদলকে সমস্যায় ফেলতে পারে, তা কার্যত মেনে নিচ্ছেন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রাইহান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সুজাপুরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার কথাও উঠে এসেছে তাঁর মুখে।
গত লোকসভা নির্বাচনে শাসকদলকে (TMC) একেবারে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল ইংরেজবাজার। শুধুমাত্র ইংরেজবাজার বিধানসভা এলাকা থেকে বিজেপির ঝুলিতে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৬০টি ভোট এসেছিল। সেখানে কংগ্রেস ও তৃণমূলের প্রার্থীরা ভোট পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৬০৭টি ও ৩৮ হাজার ৪৭৮টি। স্বভাবতই শাসকদলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে ইংরেজবাজার। রাইহান বলেন, ‘এনিয়ে বিগ্রেডে থাকতেই দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনার নজরে সমস্ত কিছু রয়েছে।’
গত লোকসভা নির্বাচনের পর সুজাপুরের ভোট ব্যাংকের গ্রাফ খানিকটা শাসকদলের অভিমুখে ঘুরেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে সুজাপুর বিধানসভা এলাকা থেকে শাসকদলের ঘরে এসেছিল ৬২ হাজার ৫৫৮ ভোট। যা শীর্ষস্থানে থাকা কংগ্রেসের থেকে ২৮ হাজার ৬১০টি কম ভোট। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই রাজ্যের মধ্যে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন শাসকদলের প্রার্থী আবদুল গণি। কিন্তু গত আড়াই-তিন বছরে গণি সাহেবের চেহারা এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর সেই ক্ষোভ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে এই লোকসভা নির্বাচনে। রাইহান বলেন, ‘মানুষ দু হাত তুলে ভোট দিয়ে একজনকে জেতালেন। অথচ তাঁরা বিধায়কের কোনও পরিষেবা পাননি। স্বভাবতই সুজাপুরবাসীর মনে ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক। প্রথমেই আমি সুজাপুরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব। আগামী দুই বছর যেন সুজাপুর বিধানসভার প্রতিনিধিত্ব থেকে বাদ না পড়ে যায় সেই বিষয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর দেব।’ বিধায়ককে এলাকায় দেখা না গেলেও রাজ্য সরকারের সমস্ত পরিষেবা সেখানে পৌঁছেছে বলে জানান তিনি।