হরিশ্চন্দ্রপুর: প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে পুলিশের পেছনে বিচুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন মালদা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, একই মঞ্চ থেকে পুলিশকে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপির দালাল বলে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের যুব নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি। সঙ্গে লোকসভার আগে বিজেপি নেতাদের কবর দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবসের সভামঞ্চ থেকে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতৃত্বের। আর মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। এ নিয়ে পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধীরা।
শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের শহিদ মোড়ে আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভামঞ্চ থেকে পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন এই দুই তৃণমূল নেতা। স্বপন আলির অভিযোগ, পুলিশের একাংশ বিরোধীদের হয়ে দালালি করছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তাদের জন্যই পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি হাত ছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। সঙ্গে স্বপনবাবুর নিদান, ‘লোকসভার সময় বিজেপি নেতাদের গণতান্ত্রিক ভাবে কবর দেওয়া হবে।’ আরও একধাপ এগিয়ে জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি বলেন, ‘যেসব পুলিশ আধিকারিক মানুষের জন্য কাজ করছে না, তাদের পেছনে বিচুটি পাতা ঘষে দিতে হবে।’ আর শাসকদলের দুই নেতার মন্তব্য ঘিরেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। এতদিন বিরোধীরা পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ করতেন। এবার শাসকেরই রোষের মুখে পুলিশ। যদিও পুরোটাই দুই নেতার ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। কংগ্রেস নেতা আবদুস শোভানের কথায়, ‘পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করার পরেও তৃণমূল হেরে গিয়েছে। হারের জ্বালা সহ্য না করতে পেরে তৃণমূলের এই মন্তব্য।’ বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়ার কটাক্ষ, ‘তৃণমূল এই সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত। আসলে রাজ্যজুড়ে ইডির হানা চলছে। হয়তো এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরেও আসতে পারে। তাই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।’