কলকাতা: ‘আমাকে দেখে হাত নাড়লেন’, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও অসুস্থ বুদ্ধদেবকে দেখতে তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাম অ্যাভিনিউ থেকে গ্রিন করিডর করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। ৭৯ বছর বয়সি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন তিনি।
পরিবার সূত্রের খবর, শনিবার সকাল থেকে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে বুদ্ধদেবের। তা একসময় ৭০-এর নীচে নেমে যায়, সঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। প্রথমে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অক্সিজেন নিতে পারলেও ‘রেসপন্ড’ করছিলেন না। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবারই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যান মমতা। এদিন বিকেলে বিধানসভা থেকে সরাসরি সেখানে যান তিনি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। বুদ্ধদেবের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বুদ্ধদেব তাঁকে দেখে হাত নেড়েছেন। মমতার কথায়, ‘ওঁর জ্ঞান আছে। হাত নাড়লেন। দেখে মনে হল, অনেকটা সুস্থ হয়েছেন। ওঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছে। বাইপ্যাপ চলছে। তবে আমি তো চিকিৎসক নই। তাই এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো এক চিকিৎসক বলেন, ‘এদিন সকাল থেকেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনার প্রক্রিয়া চলছিল। একটু আগে তা সম্পূর্ণ হয়েছে।’ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল। প্রয়োজনে তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হবে।