প্রসেনজিৎ দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লি: জি-২০ সম্মেলনের মধ্যেই নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বিশেষ নৈশভোজে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ প্রগতি ময়দানে সম্মেলনের মূল মঞ্চ ‘ভারত মণ্ডপমে’ পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও কথা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, জানা গিয়েছে বিশ্বস্ত সূত্রে। তার আগে শনিবার বিকেলে বঙ্গ ভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আম আদমি পার্টির রাজ্যসভা সাংসদ রাঘব চাড্ডা।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, অভিনেত্রী পরিণীতা চোপড়ার সঙ্গে তাঁর বিয়েতে উপস্থিত থাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে এসেছিলেন রাঘব চাড্ডা। তবে ইন্ডিয়া জোট, দেশের নাম বদল থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে রাঘব-মমতা আলোচনা হয়েছে। অন্যান্যবার দিল্লিতে এলে সাউথ অ্যাভিনিউতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলোয় থাকলেও এবার চাণক্যপুরীর বঙ্গভবনেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্র অনুযায়ী, শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন রাঘব চাড্ডা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেন বিয়ের কার্ড। চাড্ডার সঙ্গে বৈঠক সেরেই ‘ভারত মণ্ডপমে’র উদ্দেশে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নিজের গাড়িতে সরাসরি ভারত মণ্ডপমে যেতে দেওয়া হয়নি আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রীদের। এমনকি দেহরক্ষীদেরও সেখানে যাওয়া নিষেধ ছিল। তাঁদের প্রথমে সংসদ ভবনে যেতে হয়। সেখানে থেকে বিশেষ শাটল্ বাসের বন্দোবস্ত করা হয় মুখ্যমন্ত্রীদের জন্য। সেই বাসেই ভারত মণ্ডপমে যান তৃণমূল নেত্রী এবং অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রীরা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীদের নৈশভোজ উপলক্ষ্যে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই অনুষ্ঠানের ফাঁকে মমতা-হাসিনা কথা হয়। কথা হয় হাসিনা কন্যা সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গেও। সৌহার্দ্য এবং সৌজন্যের আবহে কথা হয় দুই নেত্রীর। তবে এই বার্তালাপে আদৌ তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি কোনও তরফেই। গোটা বিষয়টি নিয়ে জল্পনা দানা বেঁধেছে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিসরে। আগামীকাল রবিবার কলকাতা ফিরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলে তাঁর স্পেন সফরে যাওয়ার কথা।