উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ জাতিগত দাঙ্গায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি মণিপুর জুড়ে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মণিপুর গিয়ে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার সেখানে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে মণিপুর যেতে চান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে যাওয়ার জন্য সেনা ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমতি চাইবেন বলে এদিন জানিয়েছেন তিনি।
গত ৩ মে থেকে জাতিগত দাঙ্গায় উত্তপ্ত মণিপুর। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে দাঙ্গায় মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭০ জনের। বর্তমানে ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলসের কয়েক হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছে সেরাজ্যে। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে গত রবিবারই প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ কুকি জঙ্গি। এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অশান্তির ২৬ দিনের মাথায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুরে পা রেখেছেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তাঁর মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই–সহ উচ্চপদস্থ অফিসাররা এখন মণিপুরে আছেন। এমনকী সেখানে আছেন সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে–সহ সেনার পদস্থ কর্তারা। তার মধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে যেতে চান শান্তি ফেরাতে। মণিপুর ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা নিয়ে সরব ছিলেন।
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি মণিপুরে যেতে চাই। সেখানে গিয়ে মানুষকে শান্তি ফেরানোর কথা বলতে চাই। আমি কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেনার অনুমতি চাইব ওখানে যাওয়ার জন্য।’ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি বাংলায় মণিপুরের মতো জাতি দাঙ্গা লাগাতে চাইছে। বিজেপির বিভাজন রাজনীতির জেরেই মণিপুর আজ অগ্নিগর্ভ।
উল্লেখ্য, গত ১০ বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইম্ফলে গিয়ে অনশনরত ইরম শর্মিলা চানুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখন তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন, অনশন তুলে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে। এবারও জ্বলছে মণিপুর। তাই সেখানে শান্তির বার্তা দিতে চান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তবে তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকার যেতে অনুমতি দেবে না বলেই সূত্রের খবর।