সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে জাল শংসাপত্র তৈরি করে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে যোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দিনাজপুরের ঘটনা। মূল অভিযোগকারী বিমলচন্দ্র সরকারের করা মামলার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগ, গঙ্গারামপুরের একটি প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত ওই শিক্ষক বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি অবৈধভাবে এদেশে ঢুকে জাল নথি দাখিল করে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ২০০৭ সালে সেখান থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আসার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে আগামী ১০ জুলাই সকাল সাড়ে দশটায় ওই শিক্ষককে সমস্ত কাগজপত্র সহ আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি এই সময়কালের মধ্যে ওই শিক্ষক যাতে বিদ্যালয়ে না যেতে পারেন সেজন্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ডিপিএসসির সভাপতি সন্তোষ হাঁসদা জানান, আদালতের নির্দেশ মেনে চলা হবে। জেলা তৃণমূলের শিক্ষক নেতা শুকলাল হাসদা বলেন, ‘বিচারাধীন বিষয়, কোনও মন্তব্য করব না।’
প্রসঙ্গত, ২৫২ কিলোমিটার সীমান্ত ঘেরা দক্ষিণ দিনাজপুরে অনুপ্রবেশের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এপারে এসে রাজনৈতিক দলগুলির ছত্রছায়ায় থেকে সহজেই নাগরিকত্ব পেয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে। তাঁদের অনেকেই এই জেলায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বা শিক্ষকতার কাজ করছেন বলেও দাবি। তবে সেগুলির সঠিক তদন্তের অভাবে সামনে আসে না। এবার গঙ্গারামপুরে কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে এপারে এসে চাকরি জুটিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল।