বালুরঘাট: চাকরির জন্য টাকা দিয়ে বেজায় ফাঁপড়ে পড়েছেন বালুরঘাটের (Balurghat) এক যুবক। চাকরি তো মেলেই নি, উলটে যাকে টাকা দিয়েছিলেন ফেরাতে গরিমসি করছেন তিনিও। এই পরিস্থিতিতে সোজা ‘অভিযুক্তে’র বাড়ির সামনে শুয়ে পড়লেন তপনের করদহের বাসিন্দা সজল ঠাকুর। তবে এতে খানিকটা কাজও হয়েছে। ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে শেষ পর্যন্ত সাড়ে চার লক্ষ টাকা ফেরতও পেয়েছেন তিনি। পরে ধর্না তুলেও নিয়েছেন ওই যুবক।
যুবকের দাবি, বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তি তাঁর কাছ থেকে গ্রুপ ডি-র চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও চাকরির হদিস নেই। বরং নকল নিযুক্তি পত্র সহ একাধিক জাল নথি তাঁকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশেষে টাকা ফেরত পেতে বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকায় ওই ব্যক্তির বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন সজল ঠাকুর।
তপনের করদহের বাসিন্দা সজল বলেন, ‘আড়াই বছর আগে চকভৃগুর ওই বাসিন্দা আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন গ্রুপ ডি-র চাকরি দেবেন। আড়াই বছরেও চাকরি হয়নি।’ সজল জানান, এতদিনেও চাকরি না হওয়ায় ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ফেরত চান তিনি। টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেন ওই ব্যক্তি। অনেক ঘোরাঘুরি করেও সেই টাকা পাচ্ছেন না বলেই দাবি করেন সজলের। টাকা না পেলে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান তিনি। যদিও শেষে চাপের মুখে পড়ে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা সজলকে দেওয়া হলে তিনি ধর্না তুলে নেন।