ডালখোলা: ২০২৩-এর মধ্যে সারনা ধর্ম কোড দেওয়ার দাবিতে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ভারত বনধ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে ডালখোলা রেলগেট অবরোধ করে সংগঠনের প্রতিনিধিরা। অবরোধের জেরে ডালখোলা সহ বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। রেল সূত্রে খবর ডালখোলা স্টেশনে দার্জিলিং মেল, বারসই স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেস, তেলতা স্টেশনে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, সূর্যকমল স্টেশনে শতাব্দী ও অবোধ অসম এক্সপ্রেসের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। যার জেরে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি দুর্গা মুর্মু বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি, ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের ঐতিহ্যবাহী সারনা ধর্মকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার্থে অবিলম্বে কোড প্রদান করতে হবে। এছাড়া মারাংবুরু (পরেশনাথ পাহাড়)-কে জৈন ধর্মালম্বিদের হাত থেকে দখলমুক্ত করে আদিবাসীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। রাষ্ট্রীয় মান্যতা প্রাপ্ত সান্তালী ভাষাকে ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজভাষা হিসেবে মান্যতা দিতে হবে। অসম ও আন্দামানের ঝাড়খন্ডি আদিবাসীদের অবিলম্বে এসটি সূচিতে শামিল করতে হবে। অনৈতিকভাবে কুর্মি মহাতদের এসটি তালিকাভুক্ত করার যে চক্রান্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করছে তা বন্ধ করতে হবে। এসব দাবি নিয়েই আমরা আজ ভারত বনধের ডাক দিয়েছি।‘
এদিনের এই অবরোধ কর্মসূচির ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে দেখা যায়। ডালখোলা স্টেশনে আটকে পড়া দার্জিলিং মেলের এক যাত্রী তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘কলকাতা থেকে আলুয়াবাড়ি যাব বলে দার্জিলিং মেলে আসছিলাম। কিন্তু এদিন ডালখোলা স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। পরে জানতে পারি বিভিন্ন দাবি আদায়ের জন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন অবরোধ শুরু করেছে। দীর্ঘক্ষণ এভাবেই আমরা আটকে রয়েছি।‘ অন্যদিকে, এই অবরোধের ফলে কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রেল পুলিশ ও ডালখোলা পুলিশ মহকুমা আধিকারিক সৌম্যানন্দ সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন রয়েছে।