কুশমন্ডিঃ গণবিবাহে (Mass Marriage) বাঁধা পড়লেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (minority couples) ৫০ জোড়া দম্পতি। এই গণবিবাহের আসর বসে কুশমন্ডি (Kushmandi) ব্লকের করঞ্জি পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ইলমা পাবলিক স্কুল মিশনে। এমন অনেক নিম্নবিত্ত পরিবার আছে যাদের পক্ষে শুধুমাত্র অর্থাভাবে সামাজিকভাবে বিয়ে করতে পারেন না। মূলত তাঁদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল গণবিবাহ। এদিনের গণবিবাহে উপহার স্বরূপ নবদম্পতিরা পেলেন খাট, লেপ তোষক, ৩ ধরনের হাঁড়ি, কড়াই, তাওয়া সহ একটি করে সাইকেল, প্রেসারকুকার, প্লাস্টিকের বালতি। বর ও কনের জন্য নতুন কাপড় সহ নববিবাহিতাদের জন্য বোরখা দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, এদিনের গণবিবাহে নবদম্পতিরা মূলত এসেছিলেন উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ডালখোলা, রায়গঞ্জ, তপন, গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর, সহ কুশমন্ডি ব্লকের মহিপাল, ডাঙ্গাপাড়া, বটেশ্বর, নাহিটগ্রাম থেকে। এছাড়াও গাজোল ও কিশনগঞ্জ থেকেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে এসেছিলেন পাত্র-পাত্রীরা। এদিন গণবিবাহের মধ্যাহ্নভোজে পাত্র-পাত্রী সহ প্রত্যেকের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল ভাত, মাছ মাংসের। এছাড়াও ছিল রকমারি খাবার। কুশমন্ডি ব্লকের করঞ্জি পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের পাত্রী পারভিন খাতুন গাঁটছড়া বাঁধেন বংশীহারী ব্লকের বাসুরিয়া গ্রামের সহেল রানার সঙ্গে। বটেশ্বর গ্রামের সামিম রেজা ঘর বাঁধলেন পালিগাওয়ের ফতেমা খাতুনের সঙ্গে। গণবিববাহের আসর থেকে নতুন জীবন শুরু করে খুশি সকলেই।
গণবিবাহের অন্যতম উদ্যোক্তা সহেল রানা জানান, “পণ দিয়ে বিয়ে দেওয়ার প্রচলন সর্বত্রই। পণের জন্য সময়মতো বহু বাবা মা ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিতে পারেন না। এমনই ৫০ টি সংখ্যালঘু দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিনের গণবিবাহের আসরে।