মেখলিগঞ্জ: গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষে শুরু হয়েছে মেখলিগঞ্জ-চ্যাংরাবান্ধা সড়ক চওড়া করা ও মেরামতের কাজ। দ্রুতগতিতে চলছে কাজ। কিন্তু কাজের ফলেই সৃষ্টি হওয়া ধুলো থেকে সমস্যা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। এমনকি ধুলোর সমস্যার কারণে দিনের বেলাতেও দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে মেখলিগঞ্জ শহর সংলগ্ন এলাকার মানুষকে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, নিয়মিত রাস্তার কাজ চললেও জল নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে না। কোনওদিন একবার, কোনওদিন দু’বার জল দেওয়া হচ্ছে। আবার কোনওদিন জলই দেওয়া হচ্ছে না রাস্তায়। ধুলোর সমস্যা এখন সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। ধুলোর সমস্যার কারণে পথচারী, সাইকেল, বাইক (Bike), স্কুটি (Scooty) ও টোটোচালকরা অতিষ্ঠ। দিনে অন্তত তিনবার রাস্তায় জল দিলে এই সমস্যা অনেকটাই কমবে বলে বক্তব্য স্থানীয়দের। সেই সঙ্গে দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার দাবিও তোলা হয়েছে। এই ধুলোর জন্য অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
মেখলিগঞ্জ শহর সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা গণেশ ওরাওঁ বলেন, ‘বাড়ির সর্বত্র ধুলো জমেছে। দিনের বেলা দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। জানলা-দরজা খুললেই ধুলো ঘরের ভেতরে আসছে। বাড়ির শিশু ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। দিনে অন্তত তিনবার জল দেওয়া দরকার। তাহলে ধুলোর সমস্যা অনেকাংশে মিটবে।’
মেখলিগঞ্জ কলেজপাড়ার জনৈক অরবিন্দ জোয়ারদার বলেন, ‘ফাস্ট ফুডের (Fast Food) দোকানের আয়ে সংসার চলে। রাস্তার মাঝে দোকান। রাস্তার কাজ চলছে। উড়ছে ধুলো। দোকান চালাতে সমস্যা হচ্ছে। কোনওদিন একবার কোনওদিন দু’বার জল দিচ্ছে ঠিকাদার। তাই সমস্যা কমছে না। দিনে অন্তত তিনবার জল দিলে সমস্যা মিটবে।’ তিস্তা ব্রিজ কনস্ট্রাকশন ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুজিতকুমার দাস বলেন, ‘বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি। ঠিকাদারকে নিয়মিত জল দিতে বলব।’
উল্লেখ্য চ্যাংরাবান্ধা থেকে মেখলিগঞ্জ হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। একাধিক জায়গায় পাথর ও পিচ উঠে গিয়ে রাস্তার কঙ্কালসার অবস্থা হয়েছিল। হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জ ব্লকের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। কোচবিহার জেলা প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, এই রাস্তাটি আরও চওড়া ও মজবুত করার জন্য প্রায় ২১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিস্তা ব্রিজ কনস্ট্রাকশন (Bridge Construction) ডিভিশন কাজটি করছে। প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার কাজ শেষ হলে চলাচল সমস্যা থাকবে না।