রায়গঞ্জ: কে আছেন বিধায়ক? কৃষ্ণ কল্যাণী। কোন দলের উনি? এঁদের জায়গা জঙ্গল। কোন দল থেকে জিতেছিলেন উনি? আজ কোথায় আছেন? কি ওঁনার ডেজিগনেশন? ইনসাফ যাত্রা উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ ইনস্টিটিউট মঞ্চে আয়োজিত সভায় রায়গঞ্জের বিধায়কের বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগলেন সিপিএমের যুব সংগঠন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
পিএসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের র্যাশনের চাল কোথায় যাচ্ছে, তার জন্য যে অডিট হয় তা দেখার জন্য বিরোধী দলের একজন নেতা চেয়ারে বসে থাকবেন। আমার শিক্ষা দপ্তরের টাকা কোথায় যাচ্ছে, সেই টাকার অডিট দেখার জন্য চেয়ারম্যান থাকবেন। আমার রাজ্যের স্বাস্থ্য, হাসপাতাল, বেড, ওষুধের জন্য কত টাকা আসছে এবং কিভাবে খরচ হচ্ছে তা দেখার দায়িত্ব বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর। কিন্তু তিনি আজ দিদিমণির কোলে দোল খাচ্ছেন। ৪৮ ঘন্টা ম্যারাথন রেড হল, কিন্তু ওঁনাকে বসিয়ে রেখেছেন পাশে।’ তিনি বলেন, ‘আজ বিজেপির বিধায়করা কোন দলের বিধায়ক? কি হচ্ছে আজকে। কি করে এত সম্পত্তি বাড়ে। ১২টি চাল কল, ১৪টি গমের কল, ১৫টি তেল মিল, ১টি কোল্ড স্টোরেজ।’ মীনাক্ষীর কথায়, যাঁরা উত্তর দিনাজপুরে ধান চাষ করবে, গম চাষ করবে, বেগুন চাষ করবে, সবজি চাষ করবে তাঁরা কোল্ড স্টোরেজে একটা বন্ড পাবে না। গরিব চাষিরা কোথায় যাবে?’ তাঁর বক্তব্য, ‘বেকার যুবকদের টুঁটি টিপে ধরছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ৭ জানুয়ারি রাজ্যের তৃণমূল এবং কেন্দ্রের বিজেপি, দুই শক্তিকেই পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে ব্রিগেড। লুটেরাদের বিরুদ্ধে, কাজ ও শিক্ষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’ এদিন ‘ইনসাফ যাত্রা’ থেকে এই আওয়াজ তোলে ডিওয়াইএফআই।
এবিষয়ে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘সিএজি যে ফাইলগুলি অবজেকশন দেয় সেগুলি আমার কাছে আসে। আমি সেই ফাইলগুলি দেখি এবং ক্লিয়ার করি। পিএসি চেয়ারম্যানের ভূমিকা কি ওটা নিয়ে উনি(মীনাক্ষী) পড়াশোনা করুন। পলিটিক্যাল সায়েন্সের কয়েকটি বই পড়ে নিলে সব জানা যায় না। উনি যদি পিএসি সম্পর্কে কিছু জানতে চান তাহলে আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসবেন বুঝিয়ে দেব।’