বর্ধমান: তৃণমূলের চার বিধায়ককে জেলে ভরার পালটা বিরোধীদের আটজনকে জেলে ভরার হুমকি দিয়ে রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নেত্রীর সুরেই সুর মিলিয়ে ‘বদলা’র রাজনীতির হুংকার ছেড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। সিপিএমের ‘ইনসাফ যাত্রা’ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শনিবার মানগোবিন্দ বলেন, ‘এবার আর বদল নয়, বদলা চাইব। আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন, ওরা আমাদের চারজনকে জেলে ঢুকিয়েছে, আমরা আটজনকে ঢোকাব। ইনসাফ তো এবার আমরা চাইব।’ মানগোবিন্দর এই বক্তব্যকে এবার কটাক্ষ করলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। রবিবার ‘ইনসাফ যাত্রা’ থেকে মীনাক্ষী বলেন, ‘পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়।’
তৃণমূল বিধায়কের উদ্দেশে বাম নেত্রী বলেন, ‘মানুষকে খুন করার বদলা কী হয়? সংগ্রামী জনতা যখনই রাস্তায় নেমেছে, ওরা পাগল হয়ে গিয়েছে। পাগলে কি না বলে, ছাগলে কি না খায়। বিধায়ক যদি মানুষের দায়িত্ব না নিয়ে ‘বদলা’ নেওয়ার কথা বলেন, তাহলে আর কী বলার আছে! আমরা মানুষের দাবি নিয়ে পথে নেমেছি। আমাদের ওসব নিয়ে ভাবার সময় নেই।’
এদিকে, মীনাক্ষী তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে কটাক্ষ করে যাই বলুন না কেন, তাতে দমতে রাজি নন ভাতারের তৃণমূল নেতৃত্ব। মানগোবিন্দর থেকেও আরও একধাপ সুর চড়িয়ে এদিন ভাতাড় ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন, ‘একটা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী যদি আক্রান্ত হন, তাহলে এক ঘণ্টার মধ্যে সেখানটা জ্বালিয়ে দেব।’ এ নিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‘আসলে তৃণমূল ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই এখন পাগলের মতো বকছে।’