বাগডোগরাঃ মঙ্গলবার বিকেলে এক নাবালিকার বিয়ে রুখল বাগডোগরা থানার পুলিশ। এদিন বিকেল চারটা নাগাদ বাগডোগরা সংলগ্ন ব্যাংডুবি এলাকার একটি মন্দিরে বিয়ের আসর থেকে পাত্র-পাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। যদিও কনের দাবি তিনি প্রাপ্তবয়স্কা। এদিন পুলিশ নাবালিকাকে হোমে পাঠিয়ে পাত্রকে রেহাই দিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, পাত্রীর বয়স ১৭ এবং পাত্রের বয়স ২০। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় বাগডোগরা সংলগ্ন ব্যাংডুবির একটি কালিমন্দিরে দুই পরিবারের লোকেরা বিয়ের আয়োজন করেছে। এরপরই পুলিশ সেখানে হানা দিয়ে বন্ধ করে দেয় বিয়ে। সেখান থেকে পাত্র-পাত্রীকে নিয়ে আসে থানায়।
নাবালিকার কনের মা সীতা ঋষি বলেন, “আমার স্বামী নেই। পরিচারিকার কাজ করে কোনও রকমে সংসার চলে। বাগডোগরার হোচি মিন নগরের বাসিন্দা পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিচ্ছিলাম মেয়ের। পাত্র বাগডোগরা হাটে কুলির কাজ করে। ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় না, এটা আমার জানা ছিল না। তাই বিয়ে দিচ্ছিলাম। একই বক্তব্য পাত্রের মায়েরও।
বাগডোগরা থানার ওসি পার্থ সারথি দাস বলেন, নাবালক-নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। দুজনকেই থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কোনও পক্ষের তরফ থেকেই অভিযোগ করা হয় নি। নাবালিকাকে হোমে পাঠানো হবে। নাবালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।