মালদা: সিএএ, এনআরসি-কে আর পাত্তা দিচ্ছে না মালদা (Malda) জেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্রের মুসলিম ধর্মীয় সংগঠনের কর্তাব্যক্তি, ইমাম, মোয়াজ্জিনদের বক্তব্য এবারের ভোট হবে উন্নয়নের নিরিখে। যোগ্য প্রার্থীকেই নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবেন তাঁরা। উনিশের ভোটে সিএএ-এনআরসি (CAA and NRC) কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছিল। সেবারের ভোটে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে জারি হওয়া এনআরসি আতঙ্ক ছড়িয়েছিল সংখ্যালঘুদের মধ্যে। পাশাপাশি দোসর হয়ে দাঁড়ায় সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। কিন্তু সেই সময় রাজনৈতিক দলগুলি সংখ্যালঘুদের এই আতঙ্ক দূর করার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। উলটে এই আতঙ্ককে নিজেদের ভোটে কাজে লাগিয়েছে। এমনকি একুশের ভোটেও প্রভাব ফেলেছিল এনআরসি ও সিএএ। তবে এবার এতে কোনও গুরুত্ব দিতে নারাজ সংখ্যালঘুরা।
সুজাপুর নয়মৌজা ইদগাহ কমিটির কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ‘উনিশে এনআরসি আর একুশে সিএএ নিয়ে ভোটের তাস খেলা হয়েছিল। সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার ভয় দেখানো হয়েছিল। তবে এবার সংখ্যালঘুরা আর সিএএ বা এনআরসি জুজুকে পাত্তা দিচ্ছে না। প্রত্যেকেই নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।’ পাশাপাশি মালদা শহরের শাহি ইমাম সাবিউল হাসান বলেন, ‘যারা অন্য দেশ থেকে আমাদের দেশে এসেছে, আতঙ্ক তাঁদের। আমরা কেন ভয় পাব? হিন্দু, মুসলিম, শিখ সব সম্প্রদায়ের মানুষ এই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। দেশকে ভালোবাসা আমাদের দ্বিতীয় ইমান।’