উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অবশেষে মায়ানমারের সিতওয়া উপকূলে আছড়ে পড়ল মোকা। রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মোকা। প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে বইছে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে ঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া কয়েক ঘণ্টা ধরে চলবে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়েছে বাংলাদেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মহেশখালি এবং সেন্ট মার্টিন এবং পায়রা বন্দরে। ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে। তাই সতর্ক রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও। আগেই মাইকিং করে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সকাল ৯-টা নাগাদ ‘মোখা-র অবস্থান ছিল বাংলাদেশের কক্সবাজারের প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে। অঙ্কের হিসেব দেখাচ্ছিল, কক্সবাজারের দিকেই সে রীতিমতো লাল চোখে তাকিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনস দ্বীপে ভয়াবহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের জনসংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি। তাঁদের জন্য খোলা হয়েছে আশ্রয় শিবির। সরবরাহ করা হচ্ছে শুকনো খাবার ও জল। তবে প্রায় হাজারখানেক বাসিন্দা ইতিমধ্যেই দ্বীপ ছেড়ে চলে গিয়েছেন অন্যত্র।
মায়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবর, উপকূলবর্তী রাখাইন প্রদেশে অন্তত এক লাখ লোক বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছেন। সেখানে এমনিতেই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ফলে চূড়ান্ত দুর্ভোগে জনসাধারণ। আরাকান সেনা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক বাহিনীর তরফে বাসিন্দাদের সাহায্য করা হচ্ছে। খোলা হয়েছে প্রচুর ত্রাণশিবির। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের রাজধানী সিট্টে শহর মোখার নাগালের সবচেয়ে কাছে থাকবে। ফলে সেখানেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্থানীয়রা।