বালুরঘাটঃ ইট (hit by a brick) দিয়ে মাথা থেঁতলে রঙ মিস্ত্রিকে (youth dies) খুন করার অভিযোগ উঠল সহকর্মীর বিরুদ্ধে। মৃতের নাম পিন্টু দাস(৩১)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের পতিরাম থানার পাইকপাড়ায়৷ পেশায় পিন্টু ছিলেন রঙ মিস্ত্রি। গত সোমবার গ্রামেই পিকনিক করার সময় পিন্টু দাসকে মারধর করে তার সহকর্মী সন্তু দাস। বিষয়টি নজরে আসতেই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পিন্টুকে উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়৷ সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। বুধবার দুপুরে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। এদিকে এনিয়ে পতিরাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী৷ এদিন বিকেলে দেহ বাড়ি পৌঁছাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মৃতদেহ অভিযুক্তের বাড়ির সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পতিরাম থানার পুলিশ।
অভিযোগ, গত সোমবার দুপুরে এলাকা তেই পিকনিকের আয়োজন করে রঙের হেড মিস্ত্রি অরুণ মহন্ত ও সহকর্মী সন্তু দাস। পিকনিকে যোগ দেয় পিন্টুও। পিকনিকের আসরে মদ্যপানের পর পিন্টু ও সন্তুর মধ্যে বচসা বাঁধে। বচসা চলাকালীন আচমকাই অরুণ মহন্ত ইট দিয়ে পিন্টুর মাথায় আঘাত করে৷ এর ফলে তাঁর মাথার কিছুটা অংশ থেঁতলে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় পিন্টুকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। রাতে মালদা নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় পিন্টুর।
এদিকে পিন্টুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। গতকাল রাতে পতিরাম (Patiram Thana) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের স্ত্রী। এবিষয়ে পতিরাম থানার ওসি সৎকার সাংবো বলেন, এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত সন্তু দাস ও অরুণ মহন্ত।