কিশনগঞ্জঃ সুপারি কিলার (hired killers) লাগিয়ে বাবাকে মারার পরিকল্পনা করেছিল ছেলে। কিন্তু বাবার সঙ্গে নিজের ছেলেরও যে মৃত্যু হবে তা ভাবতে পারেননি বিহারের পূর্ণিয়ার (Purnia) বাসিন্দা অশোক মণ্ডল। সোমবার রাতে ভাড়াটে খুনিরা ঘরে ঢুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করল ঘুমিয়ে থাকা বৃদ্ধ চতুরি মণ্ডলকে। দুর্ভাগ্যবশত আততায়ীদের (assailants) ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ গিয়েছে (shot dead) বৃদ্ধের পাশে শুয়ে থাকা আরও এক কিশোরের। যেই গুনধর ছেলে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে নিজের বাবাকে হত্যা করিয়েছেন, তারই একমাত্র পুত্র এই মৃত কিশোর। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কোঠি থানার ভাতসারা গ্রামপঞ্চায়েতের কলমবাগ গ্রামে। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত অশোক মণ্ডল। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ সাজার দাবি করেছেন পরিবারের অন্যরা।
জানা গিয়েছে, মাত্র ৮ কাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ বাবা ও বড় ছেলের মধ্যে। বড় ছেলে অশোক মণ্ডল তাঁর বাবাকে জমি লিখে দিতে দীর্ঘদিন ধরেই চাপ সৃষ্টি করছিল বলে অভিযোগ। এই নিয়ে বিবাদ লেগেই থাকত পিতা-পুত্রের। জমি লিখে না দেওয়ায় সম্প্রতি বাবা চতুরী মণ্ডলকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অশোক মণ্ডল।
সোমবার রাতে নাতি মনীষ কুমারকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন চতুরী মণ্ডল। রাতেই একটি বাইকে এসে ৩ দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় বৃদ্ধকে গুলি করে খুব কাছ থেকে হত্যা করে। দুর্ভাগ্যবশত গুলি লাগে পাশে শুয়ে থাকা অশোক মণ্ডলের ছেলে মনীষের গায়েও। সেই গুলিতে প্রাণ যায় তারও। গুলির আওয়াজে ঘুম ভাঙে পরিবারের অন্যদের। এরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তিন আততায়ী। পরিবারের অভিযোগ, এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড অশোক মণ্ডল। জমি হাতানোর জন্য অশোক মণ্ডলই ভাড়াটে খুনি দিয়ে নিজের বাবাকে হত্যা করিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অশোকের ছেলে মনীষ ঠাকুরদার সঙ্গে শুয়ে ছিল। আর দুষ্কৃতীদের গুলিতে তারও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা এবং বরহরা থানার আইসি বিকাশ কুমার আজাদ। এই জোড়া হত্যা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আমির জাভেদ জানান, পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এইদিনই পূর্ণিয়া থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে একটি ফরেন্সিক দল। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে জোরকদমে।