নাগরাকাটা: পাহাড়ের এবছরের কমলা উৎসবে নাগপুরের কমলাচাষিরা এসে তাঁদের সাফল্যের কথা শোনাবেন। আগামী ১১ ও ১২ ডিসেম্বর মংপু ও সিটংয়ে ওই কমলা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও হর্টিকালচার দপ্তরের আওতাধীন সিঙ্কোনা অ্যান্ড আদার মেডিসিনাল প্ল্যান্টস বিভাগ কমলা উৎসবের আয়োজন করছে। বিভাগের নির্দেশক স্যামুয়েল রাই বলেন, ‘কমলাচাষিদের নানা সমস্যা ও প্রতিকারের উপায় নিয়েও উৎসবে বিশদে আলোচনা করা হবে। পাহাড়ের কমলার আরও পরিচিত ঘটানোও এই কর্মসূচির আরেকটি উদ্দেশ্য।’
সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং ও কালিম্পং এই দুই জেলার বহু স্থানেই কমলা চাষ হয়। তবে বর্তমানে নানা ধরনের রোগের আক্রমণ সহ কমলার ফলন ধীরে ধীরে কমে যাওয়ার সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। নাগপুরের ম্যান্ডারিন প্রজাতির কমলাতেও একসময় এই ধরনের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। সেখানকার ফলের স্বাদও কমে যাচ্ছিল। পরে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চের আওতাধীন নাগপুরের সেন্ট্রাল সিট্রাস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষণাকে কাজে লাগিয়ে সেখানকার চাষিরা সেই সমস্যা থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন সেখানকার চাষি এসে পাহাড়ের কমলা উৎসবে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানাবেন। কি করলে উৎকৃষ্ট মানের কমলা মেলা সম্ভব সে বিষয়ে মত বিনিময় করবেন। উৎসবে কমলার প্রদর্শনীর পাশাপাশি চাষিদের কমলা বাগান পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়ারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পর্যটক কিংবা উৎসাহী কারও কমলা উৎসব দেখতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।