নিবেদিতা দাস, মাটিগাড়া: রেশম চাষে নয়া দিশা দেখাচ্ছে মুগা। বাংলা থেকে অসমে যাচ্ছে মুগার ডিম। এক সময় উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সিল্ক তৈরির জন্য আনা হত রেশম কিট মুগা। যা স্বর্ণ রেশম বা গোল্ডেন সিল্ক নামে পরিচিত। তবে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ মুগার ডিম তৈরিতে সক্ষম যে কারণে উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে নতুন করে ডিম আনাতে হচ্ছে না। বরং এখানে তৈরি ডিম যাচ্ছে অসম সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে।
সোমবার রাজ্য রেশমশিল্প দপ্তরের উত্তর বিভাগের যুগ্ম অধিকর্তা ড. অরুপ কৃষণ ঠাকুর বলেন, ‘একসময় একমাত্র অসম এবং উত্তরপূর্ব ভারতে তৈরি হত মুগা। কিন্তু এখন সেই গুটি কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দার্জিলিং পাহাড় এবং সমতল সহ উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হচ্ছে। শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি, মাটিগাড়া রেশম খামার এবং কোচবিহার থেকে প্রচুর পরিমাণে রোগমুক্ত মুগা ডিম ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতে পাঠানো হয়েছে।’
মাটিগাড়ার রেশম দপ্তরের তরফে জানানো হয়, ঠাণ্ডা জায়গায় মুগা চাষ ভালো হয়। এই চাষের সেরা সময় কার্ত্তিক, অগ্রহায়ণ মাস। আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই চাষ করা হয়। এই দপ্তরের এক কর্মী বলেন, ‘আশপাশের এলাকার চাষিদের ডিমের প্রয়োজন মেটানোর পরও প্রচুর ডিম আমরা উৎপাদন করতে পেরেছি এবং প্রতিটি ডিম উন্নতমানের এবং রোগমুক্ত।’ মেঘালায় থেকে আগত কেন্দ্রীয় রেশম বোর্ডের বিজ্ঞানী মহাশঙ্কর মজুমদার বলেন, ‘শিলিগুড়ি সংলগ্ন নকশালবাড়িতে মুগার মৌলিক বীজ রক্ষণাগার তৈরি করা হয়েছে। যা ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গকে মুগা চাষের এক নুতন দিগন্ত দেখাবে।’