নাগরাকাটা: ডুয়ার্সের বহু ছেলেমেয়ে প্রথাগত পড়াশোনার বাইরে আর অন্য কোন কিছুর কথা চিন্তাই করে না। সেখানে ইংরেজীতে অনার্স নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর অন্য কিছু ভেবেছিল নাগরাকাটার কন্যা সংযুক্তা দত্ত। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য বেছে নেয় গ্রন্থাগার বিজ্ঞানকে। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই বিষয়ের ডিপ্লোমা কোর্সে গোল্ড মেডেল পেয়ে এখন প্রকৃত অর্থেই এলাকার ‘সোনার মেয়ে’ হয়ে উঠেছে সে। এখানেই থামতে চাইছে না বছর চব্বিশের ওই যুবতী। এবারে তাঁর লক্ষ্য গ্রন্থাগার বিজ্ঞানের ওপরই পিএইচডি কোর্স সম্পূর্ণ করা। এজন্য কাজও শুরু করে ফেলেছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব বন্দিত সাহিত্যিক উইলিয়াম সেক্সপিয়ারের লেখা নানা গ্রন্থের ওপর তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়ে গেছে। কোয়ালিটেটিভ অ্যান্ড কোয়ান্টিটেটিভ মেথডস ইন লাইব্রেরী অ্যাসেসমেন্ট জার্নালে তাঁর ওই লেখাটি প্রকাশিত হয়। সংযুক্তার বাবা সুনীল দত্ত পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, মা গীতা দত্ত অঙ্গনওয়ারি কর্মী। নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়ে সুকন্যার সাফল্যে খুশি তাঁর বাবা-মা।
মালবাজারের সিজার স্কুল থেকে দশম ও দ্বাদশের (৯১%) পড়া শেষ করে ২০২০ তে সংযুক্তা কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে ইংরেজীতে অনার্স নিয়ে স্নাতক হয়। এরপর রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হয় ব্যাচেলার অফ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন সায়েন্স নিয়ে। ওই ডিপ্লোমা কোর্সে টপার হবার পর সম্প্রতি জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি প্রাঙ্গনে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে গোল্ড মেডেল ও সেই সাথে সংশাপত্র তুলে দেন উপাচার্য ডঃ নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তী। বর্তমানে সংযুক্তা কলকাতার শ্যামনগরের মর্নিং বেলস অ্যাকাডেমি হাই স্কুলে পূর্ণ সময়ের গ্রন্থাগারিকের কাজ করছেন।