উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইন্ডিয়া জোটে (INDIA Alliance) জট অব্যাহত। বিহারে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) ইতিমধ্যেই জোট থেকে বেরিয়ে এনডিএর হাত ধরেছে। বাংলাতে একলা চলো নীতি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলায় তৃণমূল দুটির বেশি আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে নারাজ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কংগ্রেসের উদ্দেশে বলেছিলেন, “কংগ্রেস, তুমি ৪০টা আসন পাবে কি না জানি না, সারা ভারতে ৩০০টা আসনে লড়াই করে।” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেসকে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তিনি তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’ দিলেন কংগ্রেসকে।
বুধবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ সূচক জবাবি ভাষণ রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তিনি তাঁর বক্তব্যে কংগ্রেসকে তুলোধোনা করতে গিয়ে হাতিয়ার করলেন বিরোধী ঐক্যের অন্যতম মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসনরফা সংক্রান্ত মন্তব্যকে। মোদি বলেন, “বাংলায় বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কংগ্রেস। বলা হচ্ছে, গোটা দেশে তারা ৪০ আসন পাবে কি না! আমি প্রার্থনা করি যাতে তারা (কংগ্রেস) ৪০টি আসন ধরে রাখতে পারে।” এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “দলটা এখনও পুরোনো ভাবনাচিন্তা নিয়েই চলছে। তাদের কাজকর্মও আউটসোর্স করে দিয়েছে। এতো বড় দল, এতো বছর দেশে রাজত্ব করেছে, তাদের এই পরিণতি! এতো অবনতি! এটা দেখে আমার একটুও আনন্দ হচ্ছে না। আপনাদের জন্য আমার সমবেদনা রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক কী করবে, যখন রোগী…. আর কী বলি!” সবমিলিয়ে লোকসভার পর রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণেও কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী তৃণমূল সরকারকে বারবার আক্রমণ করলেও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের গলায় বারবার শোনা গিয়েছে মমতার প্রশংসা। তাঁরা এখনও জোটে বিশ্বাসী। মমতাকে জোট শরিক দাবি করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গ ত্যাগ করে একলা চলো নীতি নিয়েছে। ফলে কংগ্রেসের এই রাজনৈতিক ‘দৈন্যতা’-কেই বারবার দেশের সামনে আনার চেষ্টা করলেন মোদি।