সায়নদীপ ভট্টাচার্য, বক্সিরহাট: রামপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা রামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রাজ্যের সেরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র হিসেবে পরপর তিনবার সুশ্রী কায়াকল্প প্রকল্পে পুরস্কার পেয়ে নজর কেড়েছিল। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি গত বছর ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্ট্যান্ডার্ডের (জাতীয় গুণগতমান নির্দিষ্টকরণের শংসাপত্র-এনকিউএসএস) স্বীকৃতি অর্জন করে। তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একজন চিকিৎসক মাস দেড়েক আগে বদলি হওয়ায় কোচবিহার জেলার অসম লাগোয়া প্রত্যন্ত এলাকার রামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চিকিৎসক সংকটে ভুগছে। চিকিৎসক সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বেশির ভাগ রোগীকেই ৫০ কিলোমিটার দূরে তুফানগঞ্জ অথবা কোচবিহার হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে। স্বাভাবিক প্রসবও বন্ধ হওয়ার জোগাড়।
এই অবস্থায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির একমাত্র চিকিৎসক ও ছয়জন নার্স কোনওমতে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির একমাত্র চিকিৎসক সায়ন মণ্ডল বললেন, ‘দেড় মাস ধরে লাগাতার ইন্ডোর ও আউটডোরে পরিষেবা দিয়ে চলেছি। বাড়িতে অসুস্থ বাবা-মা। পরিবারকে ঠিকমতো সময় দিতে পারছি না।’ সমস্যার বিষয়টি মেনে নিয়ে কোচবিহার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘অন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তুলনায় জাতীয় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত রামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আউটডোরে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সেখানে চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারেই দেখা হচ্ছে।’
তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রামপুর-১, রামপুর-২, ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও আলিপুরদুয়ার জেলার বারবিশা, কুমারগ্রাম সহ নিম্ন অসমের বিস্তীর্ণ এলাকার গড়ে ২৫০ মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে। কিন্তু চিকিৎসকের সংকটের কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে বর্তমানে খুবই সমস্যা চলছে। সমস্যা মেটাতে স্থানীয় বাসিন্দা স্বপনকুমার সাহা, রামপুরের বাসিন্দা মৌসুমি দেবনাথের মতো অনেকেই সরব হয়েছেন। সমস্যা মেটাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কোচবিহার জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য নিরঞ্জন সরকারও আশ্বাস দিয়েছেন।