শুভঙ্কর চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (NBU) প্রশাসনিক কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। বেতন বৃদ্ধির জন্য উপাচার্যকে (vice chancellor) ঘেরাও করে আন্দোলন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সপ্তাহখানেক আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীদের বেতন ১০ শতাংশ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সিএম রবীন্দ্রন। সেই নির্দেশও বাতিল করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। আর তা নিয়েই শোরগোল পড়েছে ক্যাম্পাসে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অর্থ আধিকারিককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির নেতা-কর্মীরা।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বপনকুমার রক্ষিত বলেন, ‘রাজ্যপাল ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে নির্দেশ পাঠিয়েছেন। উপাচার্য সেই নির্দেশ আমাকে পাঠিয়ে পদক্ষেপ করতে বলেছেন। অধস্তন কর্মী হিসাবে সেকথা মানতে আমি বাধ্য।’
রাজ্যপালের নির্দেশের বিরোধিতা করেছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী কর্মী সমিতি। সংগঠনের সম্পাদক লালন চৌধুরীর বক্তব্য, ‘রাজ্যপাল স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে হস্তক্ষেপ করছেন। জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে ক্যাম্পাসে। রাজ্যপালের নির্দেশের বিরুদ্ধে আমরা যা করার সব করব।’
গতকাল দুপুরে ভারপ্রাপ্ত অর্থ আধিকারিক সুরজিৎ দাসকে ঘেরাও করে শিক্ষাবন্ধু সমিতি। ঘেরাও চলাকালীন আন্দোলনকারীদের রাজ্যপালের নির্দেশ পড়ে শোনান সুরজিৎ। জানা যায়, শিক্ষাবন্ধু সমিতির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রণজিৎ রায় এবং আনোয়ার আলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা শুনে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। রণজিতের কথায়, ‘বুধবার থেকে আরও বড় আন্দোলন হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু আধিকারিক রাজ্যপালের সঙ্গে মিলে এসব করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব আমরা।’