রায়গঞ্জঃ বছর দশেক আগেও আর দশটা সাধারন মানুষের মতই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন রায়গঞ্জের মিলন পাড়ার বাসিন্দা গোপাল নাগ। পরবর্তীতে তাঁর শরীরে বাসা বাধে স্নায়ুর রোগ। ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলেন তাঁর চলাফেরার ক্ষমতা। বর্তমানে গোপাল চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে একেবারেই শয্যাশায়ী। এই পরিস্থিতিতে গোপালবাবুর সংসার কীভাবে চলবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তিনি। স্বামীকে সুস্থ করতে সকলের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
৪০ বছরের যুবক গোপাল নাগের সংসারে রয়েছেন, মা, বাবা, স্ত্রী ও দশ বছরের পুত্র। পাঁচ জনের সংসারে নিদারুণ অর্থাভাব। অর্থের অভাবে চিকিৎসা প্রায় বন্ধ। বর্তমানে পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি তাঁর বাবা ৭০ বছরের শিবু নাগ। তিনি একটি স্কুলের নাইট গার্ডের কাজ করে যে টাকা পান তা দিয়েই চলে সংসার। চোখের সামনে ছেলেটি এভাবে মৃত্যু মুখে চলে যাচ্ছে তা নিয়ে ভেবে কুল পাচ্ছেন না শিবুবাবু। এখনও পর্যন্ত মেলেনি কোনও সরকারী সাহায্য।
গোপালবাবুর স্ত্রী পূজা নাগ খানিকটা অভিমানী গলায় জানান, “আমাদের পাশে কেউ নেই। অথচ ভোটের আগে সবাই অনেক কথাই বলে গিয়েছিলেন। জানিনা কিভাবে স্বামীকে বাঁচাতে পারব”। অসুস্থ গোপাল এদিন বিছানায় শুয়ে বলেন, “নেতারা মুখ ঘুরিয়ে চলে যান। কেউ একবারের জন্য এসে খোঁজ নেন না। আমি বাঁচতে চাই, আপনারা আমাকে বাঁচান”। গোপালবাবু আরও বলেন, এতদিন হুইল চেয়ারের জন্য এদিক ওদিক আবেদন করেছিলাম, কিন্তু কেউ দেয়নি। শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়ি থেকে একটি পুরোনো হুইল চেয়ার পাওয়া গেলেও এখন আমার আর শক্তি নেই।
এদিকে শনিবার দুপুরে অসুস্থ গোপালের মিলনপাড়ার বাড়িতে যান রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি তার চিকিৎসার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা তুলে দেন পরিবারের হাতে। পাশাপাশি বিধায়ক আগামীতে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।