উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বড় রানের কাছে একপ্রকার তাসের ঘরের মতন ভেঙে পড়ল কিউয়িরা। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আজ তাঁদের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখল গোটা দেশ।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছিল নিউজিল্যান্ডকে। বড় রানের তাড়া করতে গিয়ে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল কিউয়িদের যাবতীয় প্রতিরোধ। বুধবার মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায় বিশ্বকাপে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন টসে জিতে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। কুইন্টন ডি’কক ও রাসি ভ্যান ডার দাসেনের জোড়া শতরানের সুবাদে তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি’কক ওপেন করতে নেমে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১১৬ বলে ১১৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। রাসি ভ্যান ডার দাসেন ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১১৮ বলে ১৩৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন দক্ষিন আফ্রিকার ডেভিড মিলার। তিনি ৩০ বলে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া তেম্বা বাভুমা ২৪, এনরিখ ক্লাসেন অপরাজিত ১৫ ও এডেন মার্করাম অপরাজিত ৬ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ৭৭ রানে ২টি উইকেট নেন। ৪৯ রানে ১টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ৬৯ রানে ১টি উইকেট নেন জেমস নিশাম।
৩৫৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড ৩৫.৩ ওভারে মাত্র ১৬৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৯০ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ডের উইল ইয়ং ৩৩, ডারিল মিচেল ২৪ ও গ্লেন ফিলিপস ৬০ রান করেন।
৪৬ রানে ৪টি উইকেট নেন দক্ষিণ আফ্রিকার কেশব মহারাজ। ৩১ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন মারকো জানসেন। ৪১ রানে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন জেরাল্ড কোয়েটজি। ১টি উইকেট দখল করেন কাগিসো রাবাদা। ম্যাচের সেরা হন দাসেন। ৭ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬টি জয়-সহ ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে।
দক্ষিণ আফ্রিকা বড় রানের বোঝা ঘাড়ের উপর চাপিয়ে দিতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নিউজিল্যান্ডের প্রতিরোধ। যে নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বকাপের শুরু থেকে অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছিল, পুণেতে তারাই অসহায় আত্মসমর্পণ করে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। ব্যাটে-বলে নিখুঁত পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে কিউয়িদের দুরমুশ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই সুবাদে তারা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলে।