চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার: ছিল রুমাল,হয়ে গেল বেড়াল– এ যেন ঠিক সেই কথারই বাস্তব ছবি। সোমবার কোচবিহার শহরের ব্যাংচাতরা রোডে দলীয় প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের প্রচারের জন্য সভামঞ্চ বেঁধেছিল বিজেপি। ফ্লেক্স, ফেস্টুনে ভরে গিয়েছিল গোটা এলাকা। নিশীথ সেখানে পৌঁছানোর পর হঠাৎ করেই মঞ্চের গেরুয়া পতাকা খোলা শুরু হয়। খানিক বাদে জানা যায় সেই মঞ্চ থেকেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সূচনা করবেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। তাই দলীয় পতাকা খুলে বিজেপির মঞ্চকে বানিয়ে দেওয়া হয় সরকারি মঞ্চ। প্রকল্পের সূচনা শেষে সেই মঞ্চেই ফের বাঁধা হয় দলীয় পতাকা। তখন সেটা হয়ে যায় বিজেপির মঞ্চ। সেখান থেকে ভোটের প্রচার শুরু করেন নিশীথ। এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে কোচবিহারে।
শহরতলির নাটাবাড়ি বিধানসভার মধ্যে থাকা রেলগেট বাজার এলাকা থেকে সকাল ১০টায় নিশীথের কর্মসূচির সূচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল দশটার পরিবর্তে বেলা ১টার পরে শুরু হয় ওই কর্মসূচি। কিন্তু নিশীথ আসার কিছুক্ষণ আগেই মঞ্চ থেকে বিজেপির ফ্লেক্স, ফেস্টুন খোলার কাজ শুরু হয়। কী কারণে এমনটা হচ্ছে তা নিয়ে হকচকিয়ে পড়েন সকলে। অনেকে আবার ভাবতে শুরু করেন দেরি হচ্ছে দেখে হয়তো অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে। কিন্তু তা হয়নি। কারণ বিজেপির সভামঞ্চকে তখন সরকারি মঞ্চ করার কাজ চলছে। এরপর মন্ত্রী এসে মঞ্চে ওঠেন। তার সঙ্গে নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামীও ছিলেন। এরপর নিশীথ ভার্চুয়ালি বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ২৭০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। হিন্দিতে প্রকল্পের উদ্বোধনের কথাও বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সরকারি অনুষ্ঠান শেষ হতেই ওই মঞ্চেই তড়িঘড়ি বিজেপির ফ্লেক্স, ফেস্টুন টাঙানোর কাজ শুরু হয়ে যায়।
এরপর সভায় নিজেকে বিজেপি প্রার্থী পরিচয় দিয়ে নিশীথ বলেন, ‘এদিন অনুষ্ঠান করতে কিছুটা দেরি হয়ে গেল। কারণ খবর পেলাম দেশের আজ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে হবে। যখন খবর পেলাম কার্যকর্তাদের জানিয়ে দিলাম রাজনৈতিক কার্যক্রমের মাঝে একটি সরকারি অনুষ্ঠান করতে হবে। দুটো ভাগে অনুষ্ঠান হল। একটি সরকারি। পরবর্তীতে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার অনুষ্ঠান করা হল