কিশনগঞ্জঃ নবমবারের জন্য বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিলেন জনতা দল ইউনাইটেডের (Janata Dal United) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। রবিবার দুপুরেই বিহারে কংগ্রেস, আরজেডি এবং জেডিইউয়ের মহাগঠবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ। যোগ দিয়েছেন এনডিএ জোটে। আর এরপরই বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন জোটবদলু নীতীশ। ফলে বর্তমানে বিহার প্রকারান্তরে বিজেপি দখল করল। নীতীশ শপথ নেওয়ার পরই জনমানসের একাংশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে বিহারে (Bihar)।
রবিবার দুপুরেই বিহারে কংগ্রেস, আরজেডি এবং জেডিইউয়ের মহাগঠবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ। পদত্যাগ পত্র তুলে দিয়েছেন রাজ্যপাল রাজেন্দ্র বি আরলেকরের হাতে। এর আগে প্রথমবার ৩ মার্চ ২০০০ সালে, দ্বিতীয়বার ২৪ নভেম্বর ২০০৫ সালে, তৃতীয়বার ২৬ নভেম্বর ২০১০ সালে, চতুর্থবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে, পঞ্চমবার ২০ নভেম্বর ২০১৫ সালে, ষষ্ঠবার ২৭ জুলাই ২০১৮ সালে, সপ্তমবার ১৬ নভেম্বর ২০২০ সালে, অষ্টমবার ৯ অগাস্ট ২০২২ সালে। আর নবমবার ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ সালে নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেছেন।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ও লোকসভায় ১৭টি আসনে টিকিটের বিনিময়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোট ছেড়ে এনডিএ তে যোগ দিয়েছেন নীতীশ। এবার তিনি নিজের ৪৫ জন বিধায়ক, বিজেপির ৭৮ জন বিধায়ক, জিতন রাম মাঝির হাম দলের ৪ জন বিধায়ক অর্থাৎ ১২৭ জন বিধায়কের সমর্থনে নবমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে বিহারে নতুন সরকার গঠন করেছেন।
অপরদিকে বিপক্ষে আরজেডি-র ৭৯ জন বিধায়ক, আর বামেদের ১৬ জন বিধায়ক অর্থাৎ বিপক্ষে ১১৫ জন বিধায়ক রয়েছেন। আর ১২৭ জন বিধায়ককে নিয়ে নীতিশ কুমার মন্ত্রীসভা গঠন করবেন। নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে বিজেপি প্রকারান্তরে বিহারের দখল নিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বারবার বিভিন্ন জোটকে মাঝপথে ছেড়ে উনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে জনমানসে। কেউ কেউ নীতীশকে ‘পাল্টুরাম’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁদের মতে নীতীশ কখনও লালুর হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, আবার কখনও বিজেপির পদলেহন করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।