দার্জিলিং: সোমবার রাজ্যসভার ছ’টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই তালিকায় গোর্খা জনজাতির কেউ না থাকায় ক্ষুব্ধ পাহাড়। কড়া ভাষায় এর সমালোচনা করেছেন বিনয় তামাং। বিনয়ের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস গোর্খাদের ইতিহাস মুছে দিতে চায়। এর প্রতিবাদে সমগ্র পাহাড়বাসী গর্জে ওঠার আহবান জানিয়েছেন এই গোর্খা নেতা।
স্বাধীনতার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে পা রেখেছেন কোনও না কোনও গোর্খা জনজাতির প্রতিনিধি। দীর্ঘ সেই ধারায় ছেদ পড়ল এবার। এদিন রাজ্যসভার ছ’টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই তালিকায় নাম রয়েছে ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, সুখেন্দুশেখর রায়, প্রকাশ চিক বড়াইক, সামিরুল ইসলাম ও সাকেত গোখলের। এবার রাজ্যসভায় আর নতুন করে টিকিট দেওয়া হয়নি সুস্মিতা দেব এবং গোর্খা জনজাতির শান্তা ছেত্রীকে। আর এই তালিকা ঘোষণা হতেই গর্জে উঠেছে পাহাড়।
এই প্রসঙ্গে গোর্খা নেতা বিনয় তামাং বলেন, ‘রাজ্যসভায় পাহাড় থেকে গোর্খা জনজাতির কেউ না থাকা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যদিও তৃণমূল কাদের রাজ্যসভায় পাঠাবেন সেটা সম্পূর্ণ সেই দলের আভ্যন্তরীন বিষয়, তবুও স্বাধীনতার পর থেকেই দার্জিলিং পার্বত্য এলাকা থেকে গোর্খা জনজাতির একজন সাংসদ হওয়াই ছিল রীতি। এবার সেই রীতিতে জল ঢেলে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে গোর্খাদের ইতিহাস মুছে দিতে। গোর্খাদের প্রতি তাঁরা কতটা সহানুভূতিশীল তা আজ স্পষ্ট হয়েছে। এর তীব্র ভাষায় নিন্দা করছি। সমস্ত গোর্খা ভাইবোনদের কাছে আহবান জানাই, এর প্রতিবাদে গর্জে উঠুন। একত্রিত হয়ে ছিনিয়ে নিয়ে আসি লোকসভা ও রাজ্যসভায় গোর্খাদের প্রতিনিধিত্ব।
প্রসঙ্গত, এবারের তালিকায় নাম নেই সুস্মিতা দেব ও শান্তা ছেত্রীর। এদের দুজনের পরিবর্তে তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক এবং সংখ্যালঘু মুখ হিসাবে বঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি এবং সমাজকর্মী সামিরুল ইসলামকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। অঙ্কের হিসাবে, সাধারণ রাজ্যসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ছয়টি আসনে জয় নিশ্চিত। পাশাপাশি, উপনির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত বলেই ধরে নেওয়া যায়।