নাগরাকাটা: ১৭ মাস ধরে বকেয়া ১০০ দিনের কাজের মজুরি। সঙ্গে মিলছে না কাজও। সব মিলিয়ে তিতিবিরক্ত শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার জবকার্ডের শ্রাদ্ধ-শান্তিই করে ফেললেন। রীতিমতো ঢাক ঢোল, ধামসা-মাদল পিটিয়ে সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের সামনে সিপিএম প্রভাবিত সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ওই কর্মসূচি পালিত হয়। চেয়ারে জবকার্ড রেখে তাতে ফুলের মালা পরিয়ে স্মরণসভাও অনুষ্ঠিত হয় এদিন। বামেদের রীতি অনুযায়ী মৃতকে স্মরণ করার যে স্লোগান তাও তোলা হয় মুহুমুর্হু।
এক্ষেত্রে ধ্বনি ছিল- ‘জবকার্ড অমর রহে’। এমন কর্মকান্ড বেশ সাড়া ফেলে এলাকায়। সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সম্পাদক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ১০০ দিনের কাজ কারও দয়ার দান নয়। এটা আইনি অধিকার। আইন অনুযায়ী কেউ কাজের জন্য আবেদন করলে ১৫ দিনের মধ্যে তা দিতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বকেয়া মজুরিও কাজ শেষের ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিককে দেওয়া বাধ্যতামূলক। না পারলে সুদ সহ দিতে হবে।’ ওই বাম নেতার সংযোজন, ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যকে দুষছে। রাজ্য কেন্দ্রকে। আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত সাদামাটা, তোমাদের কে কোথায় দুর্নীতি করেছে তা বুঝি না। গরিব মানুষকে কারও কৃতকর্মের ফল ভুগতে হবে কেন? শ্রমিকের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এরপর মাঠের লড়াই আইনি লড়াইতে যাবে।’
খেত মজুর ইউনিয়ন জানিয়েছে, এদিন ১০০ দিনের কাজ সহ প্রকৃত দুঃস্থদের আবাস যোজনার তালিকাভুক্ত করা ও আবাস প্রাপকদের আটকে রাখা টাকা দ্রুত প্রদান সহ আরও একাধিক দাবিতে প্রতিটি ব্লকের একটি বা দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দিনভর সংগঠনের পক্ষ থেকে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। জলপাইগুড়ি জেলার অন্যান্য ব্লকেও কর্মসূচিটি ছিল। তবে সব স্থানকে ছাপিয়ে যায় সুলকাপাড়া। এদিন সুলকাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান না থাকায় উপপ্রধান গীতা ওরাওঁয়ের হাতে নিজেদের দাবিদাওয়া সম্বলিত একটি স্মরকলিপিও তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন নবিউল ইসলাম, সঞ্জীব রায়, শের বাহাদুর লিম্বুর মতো নেতারা। উপপ্রধান বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্র সরকার বন্ধ করে রেখেছে।