কোচবিহার: পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২ কোটি সহ গোটা উত্তরবঙ্গে পেট্রোলের বিল বাকি রয়েছে ১৯ কোটি টাকা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার সহ গোটা উত্তরবঙ্গের সমস্ত পেট্রোল পাম্প ২৪ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে কোচবিহারে শুধু এই ২ কোটি টাকাই নয়, এর বাইরেও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সরকারি অফিসের কাছে আরও অন্তত দেড় কোটি টাকা বাকি রয়েছে। তেলের লক্ষ লক্ষ টাকা বিল বকেয়া থাকা সরকারি অফিসগুলির মধ্যে কোচবিহারের জেলা শাসকের দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর ও বিডিও অফিসগুলি রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে দপ্তরগুলির কাছে একাধিকবার চাওয়ার পরেও দপ্তরগুলির পক্ষে ওই টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ কোচবিহারের পেট্রোল পাম্পগুলি। তাঁদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা প্রশাসনকে বাকিতে তেল দিয়ে তাঁদের যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রশাসনকে তাঁদের পক্ষে বাকিতে তেল দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
নর্থবেঙ্গল পেট্রোল ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের কোচবিহার জেলার জোনাল চেয়ারম্যান দীপঙ্কর বণিক বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ২ কোটি টাকা বাকি রয়েছে। ওই টাকা চাইতে গেলে বলা হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। ফলে বিল তারা দেবে। জেলায় বিডিও অফিসগুলির কাছে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও মাসিক তেলের বিল বাবদ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে।’ এর মধ্যে ব্লক ২ অফিসে ১৭ লাখ টাকা বাকি রয়েছে। জেলা শাসকের দপ্তরের কাছে পাওনা রয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। এছাড়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে মাসিক বিল বাবদ ৩০ লক্ষ টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে। দপ্তরের কাছে চাইতে গেলে তারা বলছে ফান্ড আসেনি।
কোচবিহার পেট্রোলিয়ামের অন্যতম কর্ণধার নভনীত জৈন বলেন, ‘কোচবিহার জেলা শাসকের দপ্তরের কাছে আমার ৩০ লক্ষ টাকার মতো বাকি রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ২৫ লাখ টাকার মতো বাকি রয়েছে ৮-৯ মাস ধরে। কোচবিহার-১ ব্লক অফিসে ১৫ লক্ষ টাকার মতো বাকি রয়েছে। সবমিলিয়ে আমরা খুবই সমস্যায় পড়েছি।’ বিষয়টি নিয়ে জেলা শাসক অরবিন্দকুমার মিনাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।