চাঁচল: সোনার মূর্তি উদ্ধারের প্রলোভন দেখিয়ে বড়সড়ো প্রতারণা! যদিও শেষ মুহূর্তে পর্দাফাঁস করল পুলিশ। ঘটনায় ধরা পড়েছে একজন। মালদার চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের পাহাড়পুরের ঘটনা।
পাহাড়পুরের ঐতিহ্যমন্ডিত চণ্ডীমণ্ডপ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাস করেন অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ব্যক্তি গত বেশ কয়েক মাস ধরে অনুপবাবুর বাড়িতে এসে তাঁদের প্রলোভন দেখাতে শুরু করে। তাঁদের বাড়ির মাটির তলায় বহুমূল্যবান বেশ কিছু সোনার মূর্তি রয়েছে বলে জানায় ওই ব্যক্তি। বাড়ির মালিক যদি টাকা খরচ করেন তবে মাটি খুঁড়ে সেই সব মূর্তি উদ্ধার করে তাঁদের হাতে তুলে দেবেন বলে দাবি করে অভিযুক্ত। যদিও প্রথমে নারাজ হন অনুপবাবু। তবে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে খননকার্যের জন্য রাজি হয়ে যান অনুপবাবু। মূর্তি উদ্ধার করার জন্য প্রতারকের কাছে তিনি ২ লক্ষ টাকা দেন বলে দাবি করেছেন। মূর্তি উদ্ধারের কাজে হাজির হয় আরও তিনজন। শুরু হয় মিথ্যে মূর্তি উদ্ধারের কাজ। উদ্ধার হয় তিনটি দেব মূর্তি, একটি ঘটি এবং একটি ত্রিশূল।
প্রতারকরা দাবি করে, উদ্ধার হওয়া এই মূর্তিগুলি সোনার। কিন্তু ওই ব্যক্তিরা নিজেদের ব্যাগ থেকে মূর্তিগুলি বের করে মাটি খুঁড়ে সেখানে রেখে দিচ্ছে দেখে সন্দেহ হয় অনুপবাবুর বৌমার। এরপরই প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান তাঁরা। ডাকা হয় স্থানীয় স্বর্ণকারকেও। মূর্তিগুলি দেখে স্বর্ণকার জানান, এইগুলি সোনার নয়। তারপরেই খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানায়। সেই সময় সুযোগ বুঝে কয়েকজন প্রতারক পালিয়ে গেলেও পুলিশ হাতে ধরা পড়ে যায় একজন।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ইমাম শেখ। বাড়ি চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামে। গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রতারকদের সঙ্গে আরও কোনও চক্রের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।