শিলিগুড়ি: রাজ্য সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে শুরু হয়ে গিয়েছে আগাম গরমের ছুটি। পাশাপাশি পড়ুয়াদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে গরমের ছুটির কাজ। আগাম ছুটিতে অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পড়ুয়াদের পড়াশোনার পাশাপাশি গরমের ছুটির প্রোজেক্ট সম্পর্কে গাইড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের চিন্তা, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের পড়ুয়ারা কীভাবে অনলাইনে পড়াশোনা করবে? পাশাপাশি শিক্ষকদের দুশ্চিন্তা, গরিব ঘরের পড়ুয়ারা গরমের ছুটির প্রোজেক্ট করবে কীভাবে?
নিয়মিত চর্চার মধ্যে না থাকলে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের পড়া ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনই ছবি দেখা গিয়েছিল করোনাকালে। সেজন্য ছুটিতে বাড়িতে থেকেও পড়ুয়ারা যাতে পড়াশোনার মধ্যে থাকতে পারে, তাই অনলাইনে ক্লাস করানোর উদ্যোগ নিয়েছে স্কুলগুলো। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ এই পরিবারগুলির বেশিরভাগই প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া। তাই বাড়িতে অভিভাবকদের কাছে তারা পড়াশোনায় সেভাবে কোনও সাহায্য পায় না। অন্যদিকে স্মার্টফোন না থাকায় তাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখাও সম্ভব নয়।
নবগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরণ্ময় হাজরা বলেন, ‘কোভিডের সময় অনেক পড়ুয়ার বাড়িতে গিয়ে পড়িয়েছিলাম। এবারও সেরকম পরিকল্পনা রয়েছে। ভোট শেষ হলে স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তবে যে পড়ুয়াদের অভিভাবকের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে, তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে পড়ানো হবে।’
আচমকা আগাম গরমের ছুটি দেওয়ার জন্য প্রোজেক্ট নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেনি বেশিরভাগ স্কুল। এদিন গরমের ছুটিতে কী ধরনের প্রোজেক্ট দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে নির্দেশিকা দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। দক্ষিণ শান্তিনগর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন সরকার জানান, এতদিন স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের পড়াশোনায় অসুবিধে হবে। তাই পড়ুয়াদের বাড়ি গিয়ে তাদের পড়াশোনা কেমন চলছে তা দেখা হবে।